রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে।
বুধবার বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে ঢামেক হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সন্ধ্যায় তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সকাল থেকে তার অপকর্মের চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য বের করেছি। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই অনেক কিছুই গণমাধ্যমে প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।
এর আগে সাহেদকে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আনার পর র্যাব সদর দফতরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় তাকে বেশ নির্লিপ্ত থাকতে দেখা যায়। তবে জিজ্ঞাসাবাদে একেক সময় তিনি একেক কথা বলে র্যাব সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন তিনি। তারই এক পর্যায়ে সাহেদ দম্ভোক্তি করে বলেন, ‘আমাকে ছয় মাসের বেশি সময় আটকে রাখা যাবে না’।
তাকে নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ ও ছবি প্রকাশ করায় তিনি সাংবাদিকদের উপরও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদেরকে তিনি দেখে নেবেন বলে হুমকি দেন। তিনি র্যাবকে বলেন, তার নিজেরও পত্রিকা আছে। সেই পত্রিকার লাইসেন্সও আছে।
সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, সাহেদ একজন ঠান্ডা মাথার প্রতারক। তিনি আগেও জেলে গেছেন। ফলে আইনি বিষয়গুলো তার ভালোভাবেই জানা। সে নানা সময় নানা কথা বলছে।
গত ৬ জুলাই র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালায়। পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগের সত্যতা পায় আদালত।
এরপর গত ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে র্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা হয়। এরপর থেকে সাহেদ পলাতক ছিলেন। বুধবার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতিকালে তাকে সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।