করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে কয়েকদিন ধরেই। যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার দিক চিন্তা করেই অর্ধেক টিকিট বিক্রয় করছে রেল প্রশাসন। এ সময়ে সারা দেশে ট্রেন ভ্রমণে যাত্রীরা নিরাপদও মনে করছেন। তবে এসব ট্রেন ভ্রমণে যাত্রীদের নিরাপত্তা, ট্রেন ভ্রমণে নিরাপদ দূরত্ব আছে কিনা, রেলের সরকারি সম্পদ রক্ষা করা, করোনায় সরকারি বা রেল মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী মাঠ পর্যায়ে ঠিক মতো কাজ হচ্ছে কিনা, সেসব বিষয়গুলো মনিটরিংও শুরু করেছেন রেলওয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। গতকাল পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) সরদার শাহাদাত আলীর নেতৃত্বে রেলের বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক পরবর্তীতে বিভিন্ন স্পট পরিদর্শন করেন এবং নানাবিধ দিক-নির্দেশনাও দিয়েছেন বলে জানা গেছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, পূর্বাঞ্চলের জিএম কার্যালয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্টেট বিভাগসহ দায়িত্বশীল কিছু কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত জিএম সরদার শাহাদাত আলী। এ সময় কোন দফতরের কি অবস্থা, তাও খবরাখবর নেন তিনি। পরে স্টেট বিভাগের চিফ অফিসারসহ জিএমের নেতৃত্বে রেলের অবৈধ স্থাপনা চট্টগ্রামের জামতলা, আমবাগান, ওয়্যারলেস কলোনি, আকবর শাহসহ বিভিন্ন স্পট পরিদর্শন করেন। তাছাড়া গতকাল বিকালে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন (নতুন-পুরাতন) পরির্দশন করেছেন নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত জিএম। এ সময় পূর্বাঞ্চলের আরএনবির প্রধান জহিরুল ইসলাম, ডিসিও আনছার আলী, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার, জেএলআই মো. সাজ্জাদ হোসেন, আরএবির এএসআই শওকত হোসেন সজলসহ বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। আসলাম নামের সোনার বাংলার এক যাত্রী বলেন, অনলাইনে টিকিট কেটে স্টেশনে এসেই ট্রেনে উঠে পড়ি। একটা সিট খালি রেখেই আরেকজন যাত্রী বসেছেন। এতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই ট্রেন ভ্রমণ করছি আমরা (যাত্রীরা)। তাছাড়া দেশের যে অবস্থা নিজের নিরাপত্তার বিষয় নিজেই না বুঝলে প্রশাসন বা অন্যভাবে কেউ বুঝানো যাবে না বলে জানান তিনি। একই কথা বললেন একাধিক যাত্রীও। পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম-অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) সরদার শাহাদাত আলী বলেন, রেলমন্ত্রী ও রেলওয়ের মহাপরিচালকের নির্দেশনায় করোনা পরিস্থিতিতে যাত্রী পরিবহনসহ নানাবিধ বিষয় কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। যাত্রীরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ট্রেন ভ্রমণ করছেন কিনা তাও দেখভাল করছেন রেলের দায়িত্বশীলরা। ট্রেন ভ্রমণসহ করোনা সংক্রমণ রোধে মাস্ক, হ্যান্ডস্যানিটাইজারসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা সামগ্রী দিয়ে রেলের দায়িত্বশীলরা কাজ করছেন।
তিনি বলেন, রেলে বিশাল স্টেট রয়েছে, সেগুলোও রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়া অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে ইতিমধ্যে দায়িত্ব নিয়েই পরির্দশন করেছি। এসব স্থাপনা দ্রুত ছেড়ে না নিলে উচ্ছেদ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। তাছাড়া করোনায় রেলওয়ে প্রশাসন কঠোর মনিটরিং এ কর্মতৎপরতা অব্যাহত রয়েছেন বলে জানান তিনি।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন