হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে দুইজন, শায়েস্তাগঞ্জে একজন, সুনামগঞ্জে একজন ও ভোলায় বজ্রপাতে একজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (৬ জুন) পৃথক পৃথকভাবে বজ্রপাতের এসব ঘটনা ঘটে।
জেলার আজমিরীগঞ্জ ও শায়েস্তাগঞ্জে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (৬ জুন) সকালে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার সদরের রনিয়া গ্রামের মালিক মিয়ার ছেলে মারফত আলী (১৭), একই গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে রবিন মিয়া (১৭) ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নূরপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের আছকির মিয়া (৫০)।
পুলিশ জানায়, সকালে ৫ কিশোর আজমিরীগঞ্জের হাওরে মাছ ধরতে যায়। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই দুই কিশোর নিহত ও তিনজন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন তরফদার জানান, হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে তারা মারা গেছে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে।
অপরদিকে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক জানান, সকালে নিহত আছকির মিয়া তার ছেলেকে ডাকতে বাইরে বের হন। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে তিনি আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সুনামগঞ্জ প্রতিনিনিধি জানান, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের মনাই নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মঞ্জু মিয়া (২২) নামের এক জেলে নিহত হয়েছেন। তিনি সেলবরষ ইউনিয়নের সলফ গ্রামের বাসিন্দা ফুল মিয়ার ছেলে।
শনিবার (৬ জুন) সকালে মনাই নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতের শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
স্থানীরা জানান, সকালে মাছ ধরার জন্য জাল নিয়ে মনাই নদীতে যায় মঞ্জু। সেখানে কিছুক্ষণ মাছ ধরার পর বৃষ্টি আসে পরে বজ্রপাত শুরু হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পরে স্থানীয়রা তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ পুলিশের বিশেষ শাখার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন মৃধা।
ভোলা প্রতিনিধি জানান, ভোলায় আউস ধানের ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে শনিবার সকালে বজ্রপাতে আব্দুল মালেক (৬০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় মোহাম্মদ আলী (৪৫) ও মো. কাসেম (৫০) নামে দুই কৃষক আহত হয়েছেন।
নিহত আব্দুল মালেক ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের চর কালি গ্রামের মৃত মুকবুল আহম্মেদের ছেলে। এছাড়াও আহতরা একই গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মাকসুদ আলম জাগো নিউজকে জানান, শনিবার সকাল থেকেই ওই গ্রামের চর কালি বিলে আউস ক্ষেতে কাজ করছিলেন আব্দুল মালেকসহ আলী ও কাসেম। দুপুর দেড়টার দিকে বজ্রপাত শুরু হলে আব্দুল মালেক ঘটনাস্থলে নিহত হন।
ভেলুমিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. আরমান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।