কক্সবাজারের টেকনাফে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মো. ছৈয়দ আলম নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি টেকনাফ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডেও মো. সৈয়দ আহমদের ছেলে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৪০ হাজার ইয়াবা, একটি এলজি ও এক রাউন্ড কার্তুজ জব্দ করা হয়। শনিবার দিবাগত রাতে টেকনাফ স্থলবন্দর সংলগ্ন ১৪ নম্বর ব্রিজের কাছে কেয়ারী খাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিজিবির দাবি, মো. ছৈয়দ আলম চিহ্নিত মাদক কারবারি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছৈয়দ আলম মিয়ানমার মন্ডু থানার বালুখালি গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে তিনি টেকনাফ পৌর এলাকার নাইট্যংপাড়ায় বসবাস করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান, টেকনাফ স্থলবন্দর সংলগ্ন ১৪ নম্বর ব্রিজ সংলগ্ন কেয়ারী খাল এলাকা দিয়ে ইয়াবার চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ঢুকতে পারে, এমন সংবাদে তাদের একটি বিশেষ টহলদল অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে দুজন সন্দেহজনক ব্যক্তিকে খালের পাড়ে দেখে। কিছুক্ষণ পর এক ব্যক্তিকে নাফনদী সাঁতরিয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেখে। তিনি খালের মুখে আসার সঙ্গে সঙ্গে পূর্বে থেকে অপেক্ষমাণ দুই ব্যক্তি তার কাছে এগিয়ে যায়। টহলদল চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিক টহলদলটি তাদের ধাওয়া করলে সশস্ত্র ইয়াবা কারবারিরা বিজিবি সদস্যদের ওপর অতর্কিতভাবে গুলিবর্ষণ করে। এ সময় বিজিবির টহল দলটি সরকারি সম্পদ এবং নিজেদের জান ও মাল রক্ষার্থে কৌশলগত অবস্থান নিয়ে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ৩-৪ মিনিট গুলিবিনিময় হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাদক কারবারিকে উদ্ধার করা হয়। তাকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জরুরি চিকিৎসা শেষে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন
কক্সবাজারে বন্দুকযুদ্ধে যুবক নিহত
MD. Nayem২০২০-০৭-১৩T০৮:০২:৪৭+০৬:০০
আপনার মতামত লিখুন :
Array