পুরান ঢাকার সহোদর এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়া ক্যাসিনো ব্যবসা শুরুর পর সম্পদের পাহাড় গড়েন। তাদের ৯১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থিতিশীল টাকার পরিমাণ ১৯ কোটি টাকা হলেও গত ৫ বছরে লেনদেন হয়েছে ২০০ কোটি টাকার বেশি।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন সিআইডির ডিআইজি (অর্গানাইজড ক্রাইম) ইমতিয়াজ আহমেদ। ক্যাসিনো ব্যবসায়ী এনু ও রুপন দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের চারটি মামলার তদন্ত শেষে করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আগামী সপ্তাহেই দেয়া হবে চার্জশিট।
তিনি বলেন, গেন্ডারিয়া থানায় মামলায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হচ্ছে। আর সূত্রাপুর থানায় দুটি মামলা আছে একটি মামলায় ১৪ জন আর একটি মামলায় ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও ওয়ারী থানার মামলায় ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হচ্ছে। অভিযোগপত্র (চার্জশিট) চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হবে।
তিনি জানান, এনু ও রুপন দুই ভাই ঢাকায় ২০টি বাড়ি ও ১২৮টি ফ্ল্যাটের মালিক। তাদের দুইজনের নামে ৯১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পাওয়া গেছে। যেখানে মোট ১৯ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। এই অক্যাউন্টে লেনেদেন হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে এসব সম্পদের অবৈধ মালিক হয়েছে তারা। এনু- রুপনরা পারিবারিকভাবেই জুয়ারি বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর এনামুল হক ও রুপন ভূঁইয়াদের পুরান ঢাকার বানিয়ানগরের বাসায় এবং তাদের দুই কর্মচারীর বাসায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে পাঁচ কোটি টাকা এবং সাড়ে সাত কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সূত্রাপুর ও গেন্ডারিয়া থানায় তাদের নামে ছয়টি মামলা হয়। পরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এনামুল হক ও রুপন ভূঁইয়াদের পুরান ঢাকার লালমোহন সাহা স্ট্রিটের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। ওই বাড়ি থেকে ২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৬০০ টাকা জব্দ করা হয়। আর ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার এফডিআরের কাগজপত্র পাওয়া যায়। সোনা পাওয়া যায় এক কেজি। এই ঘটনায় দুই ভাইয়ের নামে আরো দুটি মামলা করা হয়।