করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনেই তিনজন চিকিৎসক মৃত্যুবরণ করেছেন। এরমধ্যে ঢাকায় ডা. মো. আশরাফুজ্জামান, দিনাজপুরে ডা. শাহ আব্দুল আহাদ ও চট্টগ্রামে ডা. নুরুল হক মারা গেছেন।
গতকাল সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর উত্তরার বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ডা. মো. আশরাফুজ্জামান। হাসপাতালের সুপার ডা. মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন বলেন, ডা. মো. আশরাফুজ্জামান মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে মারা যান। আশরাফুজ্জামান ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক এবং হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান ছিলেন। চার বছর আগে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেন তিনি। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মারা যান দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেলে কলেজের সাবেক পরিচালক ডা. শাহ আব্দুল আহাদ (৭০)। দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ডা. শাহ আব্দুল আহাদ বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি ছিলেন। গত ৮ জুন তার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে তিনি এম আব্দুর রহিম মেডিকেলে কলেজের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সিভিল সার্জন আরও বলেন, ডা. শাহ আব্দুল আহাদের ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যা ছিল। মঙ্গলবার রাতেও তিনি ভালো ছিলেন। গতকাল ভোর থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মারা যান। এর আগে গতকাল ভোর ৪টার দিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় একই হাসপাতালের সিনিয়র আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. নুরুল হক মারা যান। হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক ডা. আব্দুর রব বলেন, করোনায় আক্রান্ত ডা. নুরুল হক গত তিনদিন ধরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাকে প্লাজমা থেরাপিও দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। ডা. নুরুল হক গত ১৯ বছর ধরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৩৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সসিবিলিটির (এফডিএসআর) যুগ্ম সম্পাদক ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী বলেন, এই তিন জনকে নিয়ে এ পর্যন্ত দেশে ৩৭ জন চিকিৎসক করোনায় মারা গেছেন। এ ছাড়া, করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন পাঁচ জন চিকিৎসক।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন