করোনার প্রকোপের মধ্যেই কিছুটা আশার বাণী শুনিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তাদের দাবি, উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গযুক্তদের থেকে করোনা সংক্রমণের হার খুব কম। সোমবার জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইমার্জিং ডিজিজ বিভাগের প্রধান মারিয়া ভন কেরকোভ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইমার্জিং ডিজিজ বিভাগের প্রধান মারিয়া ভন কেরকোভ বলেন, শুরু থেকেই মনে করা হচ্ছিল, উপসর্গযুক্ত রোগীদের থেকে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা যতটা বেশি, তার চেয়ে অনেক বেশি আশঙ্কা উপসর্গহীন রোগীদের থেকে। কারণ, উপসর্গহীন রোগীদের শনাক্ত করা কঠিন। বিশেষজ্ঞরাও বলছিলেন, যাদের শরীরে উপসর্গ নেই তাদের থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। তবে এই ধারণা পাল্টে দিয়েছে ডব্লিউএইচও। ইমার্জিং ডিজিজ বিভাগের প্রধান মারিয়া ভন কেরকোভ সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের কাছে যে পরিসংখ্যান আছে তাতে দেখা যাচ্ছে, যেসব রোগীর শরীরে করোনার উপসর্গ নেই, তাদের থেকে অন্য কারও শরীরে সংক্রমণ ছড়ানোর হার খুবই কম।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উপসর্গহীন রোগীদের থেকে করোনা ছড়াতেই পারে, তবে সেটা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার মুখ্য কারণ নয়। মূলত উপসর্গযুক্ত রোগীদের থেকেই ভাইরাস ছড়াচ্ছে বেশি। এদিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আডানম গেব্রিয়াসিস। সোমবার তিনি বলেছেন, গত দশ দিনের মধ্যে ৯ দিনই ১ লাখের বেশি মানুষ করোনা সংক্রমিত হয়েছেন এবং এর বেশির ভাগটাই আসছে ল্যাটিন আমেরিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে। একে ভীতিকর পরিস্থিতি আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন