বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, করোনাভাইরাস রুখতে একটি অ্যান্টিবডি চিকিৎসা পদ্ধতির সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করছেন তারা। এ পদ্ধতিতে কৃত্রিমভাবে তৈরি অ্যান্টিবডি আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে প্রয়োগ করা হবে। সূত্র : ব্লুমবার্গ।
ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার দাবি, সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে এ চিকিৎসা দেওয়া হলে তা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী প্যাস্কেল সোরিয়ত বলেন, এ পদ্ধতিতে ‘দুইটি অ্যান্টিবডির সমন্বয়’ করে তা ইনজেকশনের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হবে। কারণ, শরীরে দুটি অ্যান্টিবডি নেওয়া থাকলে তা একটি অ্যান্টিবডির বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। উল্লেখ্য, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি কভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যকর বলে প্রমাণিত হওয়ার আগেই তা উৎপাদনের কাজ শুরু করে দিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। মানুষের শরীরে চালানো পরীক্ষায় এ ভ্যাকসিন কার্যকর প্রমাণের সঙ্গে সঙ্গে যেন তা হাতের নাগালে পাওয়া যায়, তা নিশ্চিত করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে কোম্পানিটি।
অ্যাভিগানের গবেষণায় সময় লাগবে : অ্যাভিগানের উদ্ভাবক কোম্পানি জাপানের ফুজিফিল্মের তয়োমা ফার্মাসিউটিক্যালস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কভিড-১৯ এর চিকিৎসায় অ্যাভিগান কতটা কার্যকর হতে পারে- তা নিয়ে চলমান ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের’ সময় গড়াতে পারে জুলাই পর্যন্ত।
ওজোনাইজার তৈরি করল ইরান : করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ওজোনাইজার তৈরি করেছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। ইরানের আমির কাবির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এটি তৈরি করেছে। এই যন্ত্রে বাইরে থেকে কোনো ধরনের কেমিক্যাল বা রাসায়নিক পদার্থ দিতে হবে না, এটি বায়ু থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করে সেটাকে ওজোনে পরিণত করবে। এই ওজোন ব্যবহার করেই পরিবেশকে জীবাণুমুক্ত রাখা যাবে। ইরান বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত, হাসপাতাল, বন্দর ও টার্মিনালসহ বিভিন্ন স্থান জীবাণুমুক্ত করতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে বলে জানা গেছে।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন