শেষ হয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের(ডিপিএল) প্রাথমিক পর্বের খেলা। দুর্দান্ত বোলিং নৈপুণ্যে পুরো ডিপিএল উদ্ভাসিত হয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার আলোয়। প্রাথমিক পর্ব শেষে তাঁর দখলেই রয়েছে বোলিংয়ের শীর্ষস্থান।

আবাহনীর জার্সিতে মোট ১১ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন মাশরাফি। ১৩.২৬ গড়ে ওয়ানডে দলের অধিনায়কের শিকার ৩০ উইকেট। দুবার ঝুলিতে পুরেছেন পাঁচ উইকেট। এক হ্যাটট্রিকের সঙ্গে রয়েছে ছয় উইকেট শিকারের রেকর্ডও। সেরা বোলিং ৪৪ রান খরচায় ছয় উইকেট। প্লেয়ার্স ড্রাফটে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব মাশরাফিকে পেলেও পরে আবাহনীর জন্য বাংলাদেশের ওয়ানডে দলপতিকে ছেড়ে দিয়েছিল দলটি।

১১ ম্যাচে ২৮ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানটা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কাজী অনিকের দখলে। মাশরাফির মত অনিকও পাঁচ উইকেটের দেখা পেয়েছেন দুবার। ১৯ বছর বয়সী এই বাঁহাতি পেসারের গড়টাও তাঁর বয়সের সমানই, ১৯.১০। ৪৯ রান দিয়ে ছয় উইকেট শিকার করেছেন গতকালই। সেটাই তাঁর সেরা বোলিং নৈপুণ্য। তবে অনিকের দল মোহামেডান প্রাথমিক পর্ব শেষেই বাদ পড়ে যাওয়ায় উইকেটসংখ্যা বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ থাকছেনা এই তরুণ পেসারের।

লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের স্পিনার আসিফ হাসানের অবস্থান করছেন এরপরেই। ১১ ম্যাচে বাঁহাতি এই অর্থোডক্স স্পিনারের ঝুলিতে গেছে ২৩ উইকেট। ১৮.২৬ গড়ে উইকেট নেয়া আসিফ চার উইকেটের দেখা পেয়েছেন একবার। ২৩ রান খরচায় চার উইকেট এই আসরে এখন পর্যন্ত তাঁর সেরা বোলিং।

ইয়াসিন আরাফাতের নামটা সেরা দশ বোলারের মধ্যে না থাকলেও একটা জায়গায় প্রথমেই রয়েছেন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের এই পেসার। ৪০ রান খরচায় ৮ উইকেট নিয়ে তরুণ এই পেসারই এবারের আসরের এক ইনিংসে সেরা বোলিং নৈপুণ্যের মালিক। উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় ৪৩তম অবস্থানে থাকলেও ডিপিএলের সব আসর মিলিয়ে সেরা বোলিং নৈপুণ্যের মালিকানাটাও আরাফাতের দখলেই।