
ইসরায়েলের বিমান হামলায় লেবাননে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ জনে। তাদের মধ্যে ২৪ জন শিশু, ৩৯ জন নারী এবং দুইজন প্যারামেডিক সদস্য রয়েছেন। এ ঘটনায় আহতের সংখ্যা এক হাজার ৬৪৫ জন ছাড়িয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গত কয়েকদিন ধরে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলি বাহিনীর মধ্যে হামলা পালটা হামলা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে বেশ কয়েক দফায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।
ইসরায়েল জানায়, তারা লেবাননে প্রায় ৩০০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। গত বছরের ৮ অক্টোবর সংঘাত শুরুর পর প্রতিবেশী দেশে এটাই ইসরাইলি বাহিনীর সবচেয়ে বড় হামলা।
হামলায় বিনতে জবেইল, আইতারুন, মাজদাল সেলেম, হুলা, তোরা, কলাইলেহ, হারিস, নাবি চিত, তারায়া, শ্মেস্টার, হারবাতা, লিবায়া ও সোহমোরসহ কয়েক ডজন শহরকে টার্গেট করা হয়েছে।
বেশিরভাগ হামলাই চালানো হয়েছে দক্ষিণ ও পূর্ব লেবাননের আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে। হামলায় নাবাতিয়েহ ও বেকা উপত্যকা অঞ্চলে বহু বাড়ি, গুদাম ও কারখানায় আগুন ধরে গেছে। লেবানিজ সিভিল ডিফেন্স সদস্যরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।
সোমবার সকালে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় কয়েকটি শহর ও গ্রামে ব্যাপক আকারে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এ বিষয়ে বিবিসির একজন প্রতিনিধি জানিয়েছেন, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান থেকে শত শত স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, সোমবার সকালের পরপরই লেবাননের দক্ষিণে হিজবুল্লাহর ৩ শতাধিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, লেবাননে হামলা আরও তীব্র করা হচ্ছে। হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ইসরায়েলিকে উত্তরে ফেরানোর জন্য আমাদের লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত এই হামলা চলবে।

