বাংলাদেশে শীত কড়া নাড়ছে। পরিবর্তনশীল এই আবহাওয়ার কারণে কমবেশি সবাই এখন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আর বিভিন্ন রোগ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলেই তারা প্রায়ই অ্যান্টি বায়োটিক গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে থেকেন। গুরুতর রোগ হলে অ্যান্টি বায়োটিক গ্রহণের বিকল্প নেই। তবে ছোটখাটো অসুখের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক অ্যান্টি বায়োটিক গ্রহণ করা যায়। যা সবার রান্নাঘরেই থাকে।

প্রাকৃতিক অ্যান্টি বায়োটিক

পেঁয়াজ

পেঁয়াজ সিস্টাইন সালফক্সাইড নামক থেরাপিউটিক সালফার যৌগগুলোর একটি সমৃদ্ধ উৎস। যাতে অ্যান্টি বায়োটিক প্রভাব আছে এমন ফ্ল্যাভোনয়েড মিলবে। আপনি পেঁয়াজ কাঁচাও খেতে পারেন। এছাড়া এটি রান্নায় ব্যবহার করে পুষ্টি মিলবে।

রসুন

রসুনে আছে অ্যালিসিন, যা কার্যকরভাবে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। তবে এটি পরিমিতভাবে রাখুন। বিশেষ করে রক্তপাতজনিত ব্যাধিতে আক্রান্তদের উচিত রসুন খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।

রসুন সাধারণ ও বিরল সংক্রমণের ক্ষেত্রে দায়ী প্যাথোজেনকে মেরে ফেলতে পারে। এতে শক্তিশালী অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে। রসুন কাঁচা খাওয়া ভালো।

শুধু একটি রসুনের লবঙ্গ ছোট টুকরো করে কেটে নিন বা গুঁড়ো করে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এটি এনজাইমগুলোকে মুক্তি দেবে যা অ্যালিসিনে রূপান্তরিত হয়। কিছুক্ষণ পর খেয়ে নিন। স্বাদ আপনার পছন্দ না হলে আপনি এটি এক গ্লাস জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন। একটি লবঙ্গ দিয়ে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে এটি বাড়িয়ে ৩টি করুন।

আদা

আদা সেরা এক অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি মসলা। এতে জিঞ্জেরল, টেরপেনয়েডস, শোগাওল, জেরুমবোন ও জিঞ্জেরোনের পাশাপাশি অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যযুক্ত শক্তিশালী ফ্ল্যাভোনয়েড আছে।

এটি আপনাকে কার্যকরভাবে ব্যাকটেরিয়ার অনেক প্রজাতির সাথে লড়াই করতে সাহায্য করবে। কাঁচা আদা চিবিয়ে খেলে বা এর রস পানে আপনি সর্বোচ্চ পুষ্টি পাবেন। এছাড়া আপনার সালাদ কিংবা স্যুপের উপর ছড়িয়েও খেতে পারেন। পাশাপাশি আদা চা পান করতে পারেন।

মধু

সব মধুই প্যাথোজেনগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ভালো। তবে মধু অন্যান্য জাতের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। এই মধু নিউজিল্যান্ডের স্থানীয়। এটিতে আশ্চর্যজনক অ্যান্টি বায়োটিক, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে ও এমনকি এমআরএসএ-এর চিকিৎসায়ও ব্যবহার করা হয়। তবে এটি শিশুদের দেওয়া উচিত নয়।

প্রতিদিন শুধু দুই টেবিল চামচ মধু খান। তবে গরম পানিতে কখনো মধু মিশিয়ে পান করবেন না। কারণ এতে মধুর থেরাপিউটিক মান নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর মধুর পুষ্টিগুণ পেতে অবশ্যই প্রাকৃতিক উৎস থেকে সংগ্রহ করে খাওয়া উচিত।

সূত্র: বোল্ডস্কাই