বাংলাদেশে তিনি নায়ক রাজ হিসেবে পরিচিত। তিনি তার অসংখ্য চরিত্রের মধ্য দিয়ে দর্শক হৃদয়ে অমর হয়ে আছেন । আজ এই কিংবদন্তী অভিনেতার তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী।
গুণী এ অভিনেতা ওপার বাংলায় জন্ম নিলেও এপার বাংলার রুপালী রঙেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন নায়করাজ। কলকাতার এক অনুষ্ঠানে অভিনয় জীবন শুরু করেন ‘বিদ্রোহী’ নাটকে। এরপর কলেজ জীবনে ‘রতন লাল বাঙ্গালি’ সিনেমা দিয়ে পা রাখেন টালিগঞ্জে।
টালিগঞ্জের রূপালি দুনিয়ায় নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা না পেলেও অভিনয়শিল্পী হিসেবে পেয়েছিলেন জনপ্রিয়তা। চরিত্রপ্রধান সিনেমায় অভিনয় স্বকীয়তার মধ্য দিয়েই নিজেকে তিনি মেলে ধরেছিলেন চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যে।
‘৬০-এর দশকে সালাউদ্দিন পরিচালিত হাসির ছবি ‘তেরো নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন’-এ একটি পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে রাজ্জাক ঢাকায় তার অভিনয় জীবনের সূচনা করেন। তবে জহির রায়হান এর ‘বেহুলা’তে অভিনয় করে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেন রাজ্জাক।
৬০-এর দশকের শেষ থেকে ’৭০ ও ’৮০-এর দশকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ওঠেন রাজ্জাক। অভিনয় করেন ৩ শ’-এরও বেশি চলচ্চিত্রের নায়কের ভূমিকায়।
শুধু কি চলচ্চিত্রে, ব্যক্তি রাজ্জাকও যে ছিলেন বেশ জনপ্রিয়। চলচ্চিত্রের সংকট মূহূর্তে সব সময় পরামর্শ দিয়ে পাশে ছিলেন তিনি।
চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ারে তাঁর দীর্ঘদিনের সহকর্মীদের দাবি, বিএফডিসির কোনো স্থাপনা কিংবা শুটিং ফ্লোরের নামকরণ যেনো হয় নায়ক রাজ রাজ্জাকের নামে।
রাজ্জাক একাধিকবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার। ২০১৩ সালে চলচ্চিত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে তাকে আজীবন সম্মননায় ভূষিত করা হয়। ২০১৭ সালের এই দিনে পৃথিবীর মায়া ছাড়েন কিংবদন্তি এই অভিনেতা।