নিজস্ব প্রতিবেদক: ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওয়া দণ্ড স্থগিতের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১৮ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।
আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান । ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে শ্রম আদালতের দেওয়া ছয় মাসের সাজার রায় স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া ড. ইউনূসকে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে জানিয়ে যেতে হবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে করা রিভিশন আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
হাইকোর্টের আদেশে ড. ইউনূসসহ চারজনের ৬ মাসের সাজার রায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থগিতের আদেশ স্থগিত করে রুল জারি করেছেন। সেই সাথে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপিল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলায় ছয় মাসের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের আপিল শুনারি জন্য গ্রহণ করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একই সাথে ড. ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন আদালত। একই সাথে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতের দেওয়া রায়ের কার্কারিতা স্থগিত করা হয়। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের সদস্য জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়ালের আদালতে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
গত ১ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালত ড. ইউনূসসহ চারজনকে শ্রম আইনের ৩০৩ (ঙ) ধারায় সর্বোচ্চ ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপরদিকে ৩০৭ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন।