প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সংসদীয় এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণে পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছেন।

সিইসি বলেন, আমরা পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছি। আইন অনুযায়ী খসড়া সীমানা নিয়ে দাবি আপত্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আপনাদের আবেদনগুলো আমরা বিবেচনায় নিয়েছি। এখন শুনানিতে যৌক্তিক বিষয়গুলো তুলে ধরবেন।

রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুরে নির্বাচন ভবনে সীমানা নিয়ে দাবি আপত্তির শুনানি শুরু হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব এতে উপস্থিত রয়েছেন।

প্রথমদিনে কুমিল্লা অঞ্চলের ১৮টি আসনের শুনানি চলবে। শুনানিতে আপত্তিকারী তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত কৌশলী উপস্থিত রয়েছেন।

ইসি সচিব জানান, আজ কুমিল্লা অঞ্চলের দাবি-আপত্তির শুনানি রয়েছে- দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ৩ ও ৫; আড়াইটা থেকে সাড়ে তিনটায় কুমিল্লা-৬, ৯, ১০ ও ১১; সাড়ে ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নোয়াখালী-১, ২, ৪ ও ৫, চাঁদপুর-২ ও ৩, ফেনী-৩, লক্ষ্মীপুর-২ ও ৩ আসনের দাবি-আপত্তি আবেদনের শুনানি হবে।

৩০ জুলাই ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে ভোটার সংখ্যার সমতা আনতে গিয়ে গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়িয়ে ছয়টি করা হয়। বাগেরহাটের আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটির প্রস্তাব করা হয়।

১০ আগস্টের মধ্যে ৮৩টি সংসদীয় এলাকার সীমানা নিয়ে এক হাজার ৭৬০টি দাবি-আপত্তির আবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা হয়।