বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেছেন, আমরা জাতির স্বার্থে সাড়ে ১৭ বছর ধৈর্য ধরেছি। আরও কিছুদিন ধৈর্য ধরার জন্য প্রস্তুত আছি। আমাদের মধ্যে অস্থিরতা নাই যে আজকেই নির্বাচন করে ক্ষমতায় বসতে হবে। যোগ্যতম সময়ে সংস্কার শেষ করে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে কেরানীগঞ্জে জামায়াতের ঢাকা জেলার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সমাজ বৈষম্যে পরিপূর্ণ হয়ে আছে। এই বৈষম্য সাড়ে ১৭ বছরে তৈরি হয়েছিল। সেই বৈষম্য সমাজ থেকে এখনও সরে যায়নি। স্বৈরাচার পতন হয়েছে, পালিয়ে গেছে দেশ থেকে। কিন্তু দেশে বসে যারা তাদের অপকর্মকে সমর্থন করছেন তারা জাতির বন্ধু হতে পারেন না।
তিনি বলেন, একাত্তরে যাদের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছিল তারা জনগণকে ধোঁকা দিয়েছে, নৈতিক সাহস না থাকায় পতিত সরকার দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। স্বৈরাচার সরকার দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও দেশের মানুষ এখনও চাঁদাবাজি থেকে মুক্ত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আল্লাহ যদি আমাদের জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠনের ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে আমরা জনগণের সেবক হবো, শাসক নয়। আল্লাহ যদি আমাদেরকে এই গদি দান করেন তাহলে এটা একটি বিরাট বোঝা হয়ে আমাদের পরীক্ষা হিসেবে ঘাড়ে আসবে। সুতরাং গদি কোনো সুখের জিনিস নয়, গদি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি আমানত।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শফিকুর রহমান বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার জামায়াতকে ধ্বংস করতে কর্মী থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যা করেছে৷ জামায়াতকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসানোর মাধ্যমে সুন্দর ও ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে কাজ করতে হবে।
নরীদের উদ্দেশ্যে জামায়াত আমির বলেন, জামায়াত ক্ষমতায় এলে নারীদের বোরকা পরতে বাধ্য করবে না। রাসুলুল্লাহ (সা.) যেহেতু নারীদের ঘরে বন্দী করে রাখেননি, আমরা কেন তাদেরকে বন্দী করে রাখব? তবে, আমরা ইসলামিক পোশাক পরতে নারীদের উৎসাহিত করব।
ঢাকা জেলা জামায়াত ইসলামীর আমির মাওলানা মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ অঞ্চলের জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও পরিচালক সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বক্তব্য দেন।