কয়েকদিন আগে রেগে গিয়ে মাঝপথেই বারাণসীর একটি কনসার্ট ছেড়ে বের হয়ে যান মোনালি ঠাকুর। এরপর আয়োজকদের একহাত নেন তিনি। তাদের দায়িত্বজ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মোনালি। পরে উল্টো মোনালি ও তার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনে আয়োজক সংস্থা। সেই অভিযোগের বিষয়ে এবার মুখ খুলেছেন মোনালি ঠাকুর।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি দীর্ঘ পোস্টে সেদিন বারাণসীতে ঠিক কী ঘটেছিল, তা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
মোনালি ঠাকুর লেখেন, ‘বারাণসীতে আমার ও আমার টিমের সঙ্গে যে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে, সেই নেতিবাচক ঘটনার কথা বলে ২০২৪-এর শেষ বা নতুন বছর ২০২৫এর শুরু করতে চাইনি। যাই হোক, অনেক চিন্তাভাবনার পরে আমার মনে হয়েছে, এই দুর্ভাগ্যজনক সত্যি ঘটনাগুলো সকলকে বলা গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো বলছি শুধু সচেতনতা বাড়ানোর জন্য নয়, এসব বলছি কারণ কীভাবে এই ঘটনাগুলো পরিচালনা করা হয় সেটা তুলে ধরার জন্য। আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে আয়োজকদের চিঠিটিও এই পোস্টে জুড়ে দিলাম। আশা করি, আমার ও টিমের বিরুদ্ধে আনা আয়োজকদের মিথ্যা বিশ্বাসঘাতকতা, অনৈতিক আচরণের অভিযোগ নিয়ে সকলের বিভ্রান্তি দূর করতে এই চিঠিই যথেষ্ঠ।’
তিনি লিখেছেন, ‘ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির বেপরোয়া ও দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ নিয়ে আমি খুব বিরক্ত। বিশেষত, যৌন হয়রানি থেকে রক্ষা করতে প্রণীত আইনগুলোর অপব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন তারা। অথচ এই আইনগুলো আমাদের সমাজে মহিলাদের সুরক্ষার জন্য অত্যাবশ্যকীয়। শুধুমাত্র নিজেদের ইগো ধরে রাখতে জাতীয় আইনকে অস্ত্র করা কেবল অধিকারের চরম অপব্যবহারই নয়, এটা জঘন্য অপরাধ।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো যুবতী মহিলার এই ধরনের কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়া খুবই হতাশাজনক। কারণ এটি আসল ঘটনাকে ক্ষতিগ্রস্থ করে এবং এমন একটা ইস্যু নিয়ে অবিশ্বাসের জায়গা তৈরি করে যা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত।’
প্রসঙ্গত, গত ২২ ডিসেম্বর আচমকাই বারাণসীর কনসার্ট বন্ধ করে দেন মোনালি ঠাকুর। গণমাধ্যমে বলা হয়, আয়োজকদের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অনৈতিক’ বলে অভিযুক্ত করেছিলেন মোনালি। অভিযোগ ছিল আয়োজকরা পারফর্মার এবং দর্শকদের সুরক্ষার বিষয়টি অবহেলা করেছিলেন। বাজে আয়োজনের কারণ দেখিয়ে মঞ্চ থেকে নেমে যান তিনি।