নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় ফতুল্লার তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের আট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি। এদের মধ্যে চারজন প্রকৌশলী রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
তাদের বিরুদ্ধে ‘দায়িত্বে অবহেলার’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঐ আট কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পেয়েছেন তারা।
বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটার কয়েকদিন পর ঐ তিতাস গ্যাসের ফতুল্লা শাখায় কর্মরত ঐ আটজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
সেসময় তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে এবং যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
তদন্তকারী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন জানান, “প্রাথমিক তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা করার প্রমাণ পেয়েছি আমরা। এখন আদালতে তাদের রিমান্ডের আবেদন করা হবে।”
৪ঠা সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় মসজিদটিতে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।
নারায়ণগঞ্জের দমকল বাহিনীর উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন এর আগে বিবিসিকে জানিয়েছিলেন, মসজিদের ভেতরে গ্যাস জমে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছেন।
ওই বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, মসজিদ কমিটি, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ সরবরাহ ও ভবন নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর অবহেলার কারণেই ঘটনা ঘটেছে।
বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এবং ডিপিডিসি পাঁচটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে কাজ করছে।
আহতদের চিকিৎসার সবশেষ অবস্থা কী?
গত চৌঠা সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকার কাছের শিল্প শহর নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এতে মসজিদটির ইমামসহ গুরুতর অগ্নিদগ্ধ ৩৭ জনকে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
আহতদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এখনো পর্যন্ত ৩৩ জন মারা গেছে।
বাকি চারজনের মধ্যে তিনজনের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা: সামন্ত লাল সেন।