বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের রহিমাবাদ উত্তরপাড়া গ্রামের উপর দিয়ে অপরিকল্পিত ভাবে পল্লী বিদ্যুৎ এর ১১হাজার কেভি তারের খুঁটি বসানোয় প্রায় অর্ধ শতাধিক ভবনের বাসিন্দারা নিরাপত্বাহীনতায় আছেন।
ঝুঁকিপূর্ন এই তারে যে কোন সময় প্রান যেতে পারে এলাকার যে কারো। তারের কারণে বাড়িতে উঠতে পারছেন না ওই এলাকার মোঃ কাঞ্চন আলী শরীফের ছেলে ব্যবসায়ী হোসেন শরীফ মুনির। প্রতিকার পেতে চলতি বছরের ২১জুন বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -২ এর জেনারেল ম্যানেজার বরাবর আবেদন করেছিলেন তিনি।
অফিসের একজন তার সরানোর জন্য তার কাছে ১লক্ষ ৫০হাজার টাকা দাবী করেন। পরবর্তিতে তার সরাতে ১লক্ষ ৩২হাজার ৮শত ৯৭টাকা খড়চের হিসেব দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে গত ১৮জুলাই তাকে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে।
সরেজমিনে হোসেন শরীফ মুনির জানান, তার নির্মাণাধীন বাড়ির উপর দিয়ে যাওয়া তারে বেশকিছু দিন আগে আগুন লেগে যায়। পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঠিকাদারের মাধ্যমে পুড়ে যাওয়া জায়গাটুকু পরিবর্তন করে নতুন করে প্লাষ্টিক কাভার সংযুক্ত করে। নতুন করে জোড়া দেওয়ার সময় তিনটি তারের মধ্যে দুইটি তার ঝুলে যায়। ওই তারে যে কোন সময় দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। তার সরানোর জন্য বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জিএম-২ এর কাছে লিখিত আবেদন করেন।
পরবর্তিতে অফিসের একজন কর্মচারী তার কাছে ১লক্ষ ৫০হাজার টাকা দাবি করেন। এর কয়েকদিন পরে ওই অফিসের এজিএম(এমএস) স্বাক্ষরিত ১লক্ষ ৩২হাজার ৮শত ৯৭টাকার খড়চের হিসেব দিয়ে চিঠি পাঠান। এতে তিনি হতভম্ব হয়ে যান। তার না সরালে তার বাড়িতে ওঠা সম্ভব নয়।
উপজেলার ঘাষিড়া ডোকলাপাড়া গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক হারুনুর রশিদ জানান, মাস খানেক আগে তিনি ওই এলাকায় রাজ মিস্ত্রী কাজ করছিলেন। এসময় তারের কারণে দুর থেকেই বিদ্যুতায়িত হতে তার শরীর পুড়ে যায়। পরে তার ডান পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুল কেটে ফেলতে হয়েছে।
বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জিএম মোবাইল ফোনে জানান, টাকা দিয়েই সাধারণত সবাই তার সরিয়ে নেন। টাকা না হলে ঢাকা অফিসে চিঠি পাঠাতে । লোক পাঠাবেন এবং খুঁটি সরানো না হলেও তার সরানোর বিষয়টি দেখবেন। অপরিকল্পিত ভাবে তার টানা হয়নি।