বর্ষার বৈরিতা শেষে আজ প্রকৃতি সাজবে নতুনরূপে। বিস্তীর্ণ প্রান্তরে কাশফুলের শুভ্রতায় ছুঁয়ে যাবে সৌন্দর্যপিপাসুদের হৃদয়ের গহীন।
আজ ভাদ্রের প্রথম দিন। বিদায়ী বর্ষা শেষে সৌন্দর্যের ঋতু শরতের প্রথম দিন। শেফালি, মালতি, কামিনী, জুঁই, টগর আর সাদা কাশফুল মাথা উঁচিয়ে আজ থেকে শরৎ জানান দেবে রূপসী বাংলার অবারিত সৌন্দর্যের কথা। গাছে গাছে শিউলির মিষ্টি সুবাস প্রকাশ করে শরতের আগমনের বার্তা। সবুজ-শ্যামল রূপসী বাংলায় শরৎ তার রূপের সুষমা নিয়েই ধরা দেয়, যেন সৌন্দর্যের চাদর বিছিয়ে দেয় সমগ্র প্রকৃতিতে। গল্প, কবিতা, উপন্যাসের পৃষ্ঠায় কবি-সাহিত্যিকরা শরৎকে নিজেদের লেখার খোরাক হিসেবে তুলে ধরেছেন। শরতের স্নিগ্ধ সৌন্দর্য নিয়ে কবি লিখেছিলেন- ‘শরতে আজ কোন? অতিথি/ এল প্রাণের দ্বারে/ আনন্দগান গা রে হৃদয়/ আনন্দগান গা রে/ নীল আকাশের নীরব কথা/ শিশির-ভেজা ব্যাকুলতা/ বেজে উঠুক আজি তোমার/ বীণার তারে তারে।’ বর্ষা বিদায় নেওয়ার কারণে আকাশ মেঘমুক্ত থাকলেও ঘন নীল মেঘের ভেসে বেড়ানোর ছায়া শুভ্র কাশবনে ছেয়ে গিয়ে গ্রামীণ প্রকৃতিতে শরৎ হয়ে ওঠে অনন্য এক শৈল্পিক ঋতু। তবে ইট-কাঠের এ যান্ত্রিক নগরীর বাসিন্দারা শারদীয় এ সৌন্দর্য থেকে বঞ্চিত। শরৎ বরণে প্রতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ও ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবারসহ সাংস্কৃতিক এলাকাগুলো আনন্দযজ্ঞে মেতে থাকলেও করোনা সংক্রমণের কারণে এবার বর্ণাঢ্য আয়োজনে শরৎ উদযাপন করছে না সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন