
ফুটবলের পাশাপাশি অনেকেই বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দূত হওয়া বা সামাজিক কাজে যুক্ত হন হামজা। তবে তার ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন— তার কাছে অর্থের চেয়ে দেশের প্রতি ভালোবাসা ও উন্নয়নই বড় বিষয়।
তিনি বলেন, ‘আমি টাকার কথা আলাদাভাবে চিন্তা করি না। দেশের প্রতি ভালোবাসা ও কীভাবে দেশের পরিস্থিতি উন্নত করতে পারি, সেটাই মূল বিষয়। সেই উন্নতিতে নিজের সামর্থ্যমতো অবদান রাখাই বাংলাদেশের হয়ে খেলার অন্যতম কারণ। বাংলাদেশের সঙ্গে শৈশবের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এখানে আসাটা উপভোগ করি। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে ফুটবল খেলতে অনুপ্রাণিত করতে।’
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে হামজার। অন্যদিকে ফিফার্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ ১৮০ এর বেশি অবস্থানে। বাংলাদেশের জার্সিতে নাম লেখানোর পর থেকেই তিনি পেয়েছেন সমর্থকদের অকুণ্ঠ ভালোবাসা। এতে তিনি খুশি এবং চান তার বাবা-মাকে গর্বিত করতে। হামজা বলেন, ‘আমি শুধু চাই এই দেশের অংশ হতে পেরে গর্ব করতে এবং যেকোনোভাবে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে। বিশেষ করে আমার বাবা-মায়ের জন্য। প্রতিটি সন্তানই চায় তার বাবা-মাকে গর্বিত করতে, আর আমি মনে করি আমি ভাগ্যবান যে আমি পুরো জাতিকেই গর্বিত করতে পারি। আমি যে ভালোবাসা পাই, সেটা আমি খুব ভালোভাবে লালন করি। যখনই আমি বাংলাদেশ ছাড়ি, আমার বাচ্চারা বলে তারা বাংলাদেশে ফিরতে চায়। তাই ইনশাআল্লাহ, তারা মার্চে আবার ফিরে আসবে।’
তিনি বলেন, ‘শুধু দেশের বাইরে থেকে নয়, দেশ থেকেও আমরা অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় উঠে আসতে দেখব। ইনশাআল্লাহ, হয়ত একদিন তারা ইউরোপেও খেলবে। ইনশাআল্লাহ, আমরা সবাই দেশ হিসেবে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে পারব। সবাই মিলে প্রাণপণ চেষ্টা করে দেশের ফুটবলকে আরও এগিয়ে নিতে পারব, খেলাটা আরও বড় করতে পারব এবং প্রচুর উন্নতি করতে পারব।’
১৮ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে খেলবে এশিয়া কাপ বাছাইপর্বে। দুই ম্যাচ নিয়েই আত্মবিশ্বাসী হামজা বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ, আমার সামনে দুটি ম্যাচ আছে। তাই আমি এখন সম্পূর্ণভাবে সেই ম্যাচগুলোর দিকেই মনোযোগ দিচ্ছি। নিশ্চিত করব যে শতভাগ মনোযোগ দিয়ে যেন খেলতে পারি এবং নিজের সেরাটা দিতে পারি। যা আমাদের জিততে সহায়তা করবে। বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে।’

