‘বৌদি’ খুবই মিষ্টি একটি সম্বোধন, ডাকটার মধ্যে একটা পারিবারিক এবং আপন আপন ব্যাপার আছে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই শব্দটাকে কুরুচিকর ইঙ্গিতে ব্যবহার করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
স্বস্তিকা এবার নতুন এক চরিত্রে হাজির হচ্ছেন। পরিচালক শৌর্য দেবের প্রথম ছবি ‘প্রোমোটার বৌদি’-তে তাকে দেখা যাবে এক নারী প্রোমোটারের চরিত্রে। এক প্রচলিত ধারণা ভেঙে তিনি পর্দায় আসতে চলেছেন, যেখানে ‘প্রোমোটার’ মানে সাধারণত একজন পুরুষ। সম্প্রতি সেই ছবি নিয়ে কথা বলতে গিয়েই এমন মন্তব্য করেন অভিনেত্রী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রোমোটার বৌদি’ সিনেমা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্বস্তিকা বলেন, ‘সাধারণত ‘প্রোমোটার’ বললে একজন পুরুষকেই বোঝানো হয়। কিন্তু এই ছবিতে সেই ধারণাটাই ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। আমার চরিত্রটির নাম ‘প্রোমোটার বৌদি’, যার কোঁকড়ানো চুল এবং চোখে হালকা কাজলের ছোঁয়া।’
অভিনেত্রী জানান, এই ছবিটি নব্বইয়ের দশকের বাণিজ্যিক মসলা ছবির স্বাদ ফিরিয়ে আনবে। সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটকের মতো পরিচালকদের পাশাপাশি বাংলা ছবিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অঞ্জন চৌধুরী, প্রভাত রায়, হরনাথ চক্রবর্তী, রবি কিনাগীর মতো বাণিজ্যিক ছবির পরিচালকদেরও সমান অবদান আছে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি আরও জানান, তার অভিনয় জীবন মূল ধারার বাণিজ্যিক ছবি দিয়েই শুরু। এখনও শহরতলিতে গেলে দর্শকরা তার ‘প্রিয়তমা’ এবং ‘সাথীহারা’ ছবির কথা বলেন। এই নতুন ছবিতেও সেই বাণিজ্যিক ঘরানার স্বাদ তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, যেখানে ভাসান নাচ এবং একজন খলনায়ক প্রোমোটারও আছে।
গল্পে স্বস্তিকার চরিত্রের স্বামী এবং দুই সন্তান আছে, তাই পাড়ার সবাই তাকে ‘বৌদি’ বলে ডাকে। স্বস্তিকা ‘বৌদি’ শব্দের অর্থ ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘আমার নিজের পাড়াতেও দেখেছি, সবাই আমার মাকে ‘বৌদি’ বলে ডাকত। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে ‘বৌদি’ শব্দটা কুরুচিকর অর্থে ব্যবহার করা হয়, যা আদতে ঠিক নয়। এই শব্দটির মধ্যে পারিবারিক, মিষ্টি ও আপন একটা ব্যাপার আছে। এই ছবিতেও আমার চরিত্রটি তেমনই, আর পেশায় প্রোমোটার হওয়ায় তার নাম ‘প্রোমোটার বৌদি’।’