বাংলাদেশ সবসময় রোহিঙ্গা সমস্যায় উদারতা দেখিয়েছে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ বলে মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
তিনি বলেন, আমরা রোহিঙ্গা এবং অন্যান্য অরক্ষিত সম্প্রদায়কে সমর্থনে সবসময় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করব। রোহিঙ্গা সমস্যা, সংঘাত, আঞ্চলিক নিরাপত্তা সবসময় ওয়াশিংটনের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে বলে জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত বিফ্রিংয়ে মিয়ানমারের রাখাইন প্রসঙ্গ ও রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এ জবাব দেন ম্যাথিউ মিলার।
বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এড়িয়ে গিয়ে ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা বর্তমান সরকারের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট করেছি।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সবকিছুর ঊর্ধ্বে মন্তব্য করে ম্যাথিউ মিলার আরও বলেন, যে কোনো মূল্যে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বহাল রাখা জরুরি। এসময় বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের বিষয়টি আইনের শাসনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সামলানোর আহ্বান জানিয়েছেন মিলার।
এরআগে, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিংয়ে ফের উঠে এসেছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। সাংবাদিক গ্রেপ্তার, রোহিঙ্গা সমস্যাসহ কয়েকটি ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানিয়েছেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন বাংলাদেশে গত ৬০ দিনের বেশি সময় ধরে ৩০ জনের বেশি সাংবাদিক জেলে আটক আছেন। এখন পর্যন্ত তারা জামিন পাননি, এমনকি তাদের জামিন শুনানিও হয়নি।
ইতিমধ্যেই কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স এবং অনেক মানবাধিকার সংস্থা ড. ইউনূসের কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছে। যেখানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতেরও স্বাক্ষর রয়েছে।