প্রায় সারা বিশ্বে খাঁটি ঘির কদর আছে। কেননা খাবারে বাড়তি স্বাদ আর ঘ্রাণের জন্য ঘিয়ের জুড়ি নেই। ঘিয়ের নিজস্ব সুগন্ধ ও স্বাদ রয়েছে, যা বাটার থেকে পৃথক করে। তবে অবশ্যই তা খাঁটি ঘি হতে হবে।

ভেজাল ঘি খেলে নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এ কারণে খাঁটি ঘি চেনা জরুরি। হেলথশটের এক প্রতিবেদনে আসল ঘি চেনার কয়েকটি উপায় বলা হয়েছে। তা হলো-

গরম করুন: কম আঁচে একটি প্যানে এক টেবিল চামচ ঘি গরম করুন। খাঁটি ঘি হলে তা দ্রুত গলে পরিষ্কার তরলে পরিণত হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, যদি ঘি গলে যেতে বেশি সময় নেয়, বা অবশিষ্টাংশ ফেলে যায়, তাহলে ঘি ভেজাল হতে পারে।

আয়োডিন : খাঁটি ঘি পরীক্ষা করার জন্য একটি পাত্রে অল্প পরিমাণ ঘি নিয়ে তাতে অল্প পরিমাণ আয়োডিন যোগ করুন। যদি ঘি খাঁটি হয় তাহলে রঙ পরিবর্তন হবে না আর যদি ভেজাল হয় তাহলে নীল বা বেগুনি হয়ে যাবে।

হাতে ঘষা: অল্প পরিমাণ ঘি নিয়ে হাতের তালুতে ঘষে ১০-১৫ মিনিট বাদে সেটির গন্ধ নিন। খাঁটি ঘি দ্রুত গলে যায় এবং অবশিষ্ট পড়ে থাকে না। ভেজাল ঘি পুরোপুরি গলে যায় না এবং একটি তৈলাক্ত অংশ পড়ে থাকে সবশেষে।

স্বাদ পরীক্ষা: অল্প পরিমাণ ঘি নিন এবং স্বাদ নিন। খাঁটি ঘির স্বাদ অনেকটা বাদামের মতো। এবং এটা খাওয়ার পর মুখে লেগে থাকবে না। অন্যদিকে ভেজাল ঘি খাওয়ার পর মুঝে ডালডার মতো লেগে থাকবে।

দ্রাব্যতা পরীক্ষা: খুব সহজে পানি দিয়ে ঘি খাঁটি কিনা বুঝতে পারবেন। এ জন্য এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ ঘি গুলে নিন। খাঁটি ঘি পানিতে ভেসে উঠবে। আর ভেজাল ঘি হলে সেটা দ্রুত পানির সঙ্গে মিশে যাবে কিংবা গ্লাসের নিচে ডুবে যাবে।

কাগজের সাহায্য পরীক্ষা: সাদা কাগজ বা কাপড়ে এক ফোঁটা ঘি লাগিয়ে কয়েক মিনিট রেখে দিন। খাঁটি ঘি একটি তৈলাক্ত দাগ করবে এবং সেটা ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যায়। যদি দাগটি না যায় তাহলে বুঝতে হবে সেটা ভেজাল ঘি।

ফ্রিজে রাখুন: ঘি খাঁটি কিনা তা দেখার জন্য একটি কাছের পাত্রে কিছুটা ঘি নিয়ে সেটি ফ্রিজে রেখে দিন। খাঁটি ঘি পুরোটাই সমান ভাবে শক্ত হয়ে যাবে কিন্তু ঘি যদি ভেজাল হয় তাহলে ওপরে একটি আলাদা স্তর তৈরি হবে।