দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দরে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। যে পেঁয়াজ গত শুক্রবার বিক্রি হয় ৬০ টাকা কেজি দরে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সেগুলো বিক্রি হয় ৮০ টাকা দরে।
ক্রেতারা বলছেন, এভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকলে কয়েক দিনের মধ্যেই দাম হয়তো ১০০ টাকায় গিয়ে ঠেকবে।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সরবরাহ কম এবং ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় প্রতিদিনই দাম ৫ থেকে ১০ টাকা করে বাড়ছে। আমরা যে দামে কিনছি তার থেকে দুই-তিন টাকা লাভ রেখে বিক্রি করছি।
মাঠপাড়া গ্রামের আবদুর রউফ নামে এক ক্রেতা বলেন, গত শুক্রবার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনেছিলাম ৬০ টাকা কেজি দরে। আর আজ (গতকাল শুক্রবার) সে পেঁয়াজ কিনলাম ৮০ টাকা কেজি করে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ২০ টাকা! বাধ্য হয়ে এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে এসে ৫০০ গ্রাম কিনতে হলো।
অপর ক্রেতা ধরন্দা গ্রামের মামুনুর রশিদ বলেন, আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ। এভাবে পেঁয়াজসহ জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকলে আমাদের চলা দুষ্কর হয়ে পড়বে। আর কয়েক দিন পরত পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকায় কিনতে হবে বলে মনে হচ্ছে।
হিলি বাজারের খুরচা বিক্রেতা মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাইকারি ৭৫ টাকায় কিনে ৮০ টাকা দরে বিক্রি করছি। কিনতেই তো দাম বেশি পড়ছে। আমাদের কী করার আছে? আমরা তো কেজিতে ৫ টাকা লাভ করছি। কারণ অনেক সময় পেঁয়াজ শুকিয়ে ওজন কমে যায়। আবার পচেও কিছু নষ্ট হয়ে যায়। তাই কেজিতে ৫ টাকা লাভ ধরে রাখতেই হয়।
হিলি বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা ফেরদৌস রহমান জানান, চলতি বছরের গত ১৫ মে থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। বাজারে এখন সব দেশি পেঁয়াজ। বাজারে সরবরাহও কম। চাহিদা বেশি থাকায় গৃহস্থরা ৭০ থেকে ৭২ টাকার নিচে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন না। তাই আমরা ওই দামেই কিনতে বাধ্য হচ্ছি। গৃহস্থদের কাছ থেকে ৭২ টাকা কেজি দরে কিনে ৭৫ টাকায় বিক্রি করছি। বাণিজ্যমন্ত্রীর কথা অনুয়ারী ভারত থেকে যদি দু’এক দিনের মধ্যে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়, তাহলে দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে চলে আসবে।