নিজস্ব প্রতিবেক: চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপদাহে স্বস্তি নেই। সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এখানকার জনপদ। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় অনুভূত হচ্ছে ভ্যাপসা গরম। এরই মাঝে সোমবার মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৬ শতাংশ। এ দিন বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। শুধুমাত্র বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৩ শতাংশ। দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৬ শতাংশ। সকাল ৯টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৯ শতাংশ।
তিনি আরো জানান,বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশি থাকায় গোটা জেলায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) পর্যন্ত তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এরই মধ্যে বৃষ্টির কোনো সম্ভবনা নেই।
চলমান দাবদাহে বেশি বিপাকে পড়েছে কৃষক, দিনমজুর ও হতদরিদ্র মানুষ। মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে প্রচণ্ড রোদে তাদের কাজ করতে হচ্ছে। জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের ভ্যান চালক আবুল কাশেম বলেন, ভ্যান চালানোর সময় গায়ের চামড়া পুড়ে যাওয়ার মত হয়। গরমে এত কষ্ট সহ্য হয় না। কিন্তু পেট তো সে কথা মানে না। সে কারণে কাজে বের হতে হয়।
একই গ্রামের কৃষক জলিল বলেন, এত গরমে মাঠে কাজ করার জন্য বাড়ি থেকে বের হতে ইচ্ছা হয় না। কিন্তু কৃষি কাজের জন্য মাঠে যেতেই হয়। আল্লাহ যে এ গরম থেকে কবে রেহাই দেবে।
আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামের রিকশাচালক মিনারুল হক বলেন,বাড়ির সদস্যদের খাবার জোগাড় করতে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই গরমে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। ষ্ণ
জীবননগর উপজেলা শহরের বাসস্ট্যান্ডে ইজিবাইক চালক মমিন বলেন, প্রচণ্ড গরমে মানুষ বাড়ি থেকে বাইরে বের না হওয়ার কারণে ভাড়া হচ্ছে না।
এ দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, চুয়াডাঙ্গায় দুপুর থেকেই মরুভূমির মত তাপ অনুভূত হচ্ছে। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকূল। অস্বস্তি বাড়ছে জনজীবনে। চলমান তাপদাহে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন শ্রমজীবীরা। তীব্র তাপদাহে নষ্ট হচ্ছে ধান, ভুট্টা, কলা, আম, লিচুসহ মৌসুমি ফসল।