দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ৫ দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। ভারত থেকে কাঁচা মরিচের আমদানির খবর ও পাইকারি বাজারে দেশি কাঁচা মরিচের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমে এসেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ফুলবাড়ী পৌর সবজি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে প্রতিটি দোকানেই দেশি কাঁচা মরিচের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। ৫ দিন আগে স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি দেশি কাঁচা মরিচের দাম ছিল প্রকারভেদে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা। বর্তমানে সেই মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে। এতে প্রতি কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কমে এসেছে।
পৌর বাজারের সবজি বিক্রেতা আহমেদ কামাল বলেন, সম্প্রতি ভারত থেকে আমদানির খবরে মোকামে মজুতকৃত কাঁচা মরিচ বাজারে ছাড়তে শুরু করায় এর দাম হাটবাজারে কমে আসতে শুরু করেছে। সরবরাহ বাড়লে কাঁচামরিচের দাম আরও কমে আসবে।
এদিকে একই সময়ের মধ্যে সরবরাহ বাড়ায় পেঁয়াজের দামও প্রতি কেজি ৫ টাকা কমে এসেছে। পাঁচ দিন আগে স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল প্রকার ভেদে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। বর্তমানে সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে। এতে প্রতি কেজিতে ৫ টাকা কমে এসেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় বেশ কিছু দিন ধরেই দেশি কাঁচা মরিচ দিয়েই বাজারে ক্রেতাদের চাহিদা মেটানো হচ্ছিল। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ ভালো থাকায় দাম স্থিতিশীল ছিল। তবে মৌসুম শেষের দিকে হঠাৎ করে বৈরী আবহাওয়ার কারণে মোকামে অনেক ব্যবসায়ী কাঁচামরিচ মজুত করায় বাজারে দাম বেড়ে গিয়েছিল।
এ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসাহাক আলী বলেন, উপজেলা বাজার মনিটরিং কমিটির পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। এরপরও কোনো ব্যবসায়ী অযৌক্তিকভাবে কোনো পণ্যের দাম বাড়ালে সেই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।