শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে নাব্য সঙ্কটে ৪র্থ দিনের মত (৬ সেপ্টেম্বর) ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এতে ঘাট এলাকায় আটকা পড়েছে বহু যান। অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। অনেকে গাড়িসহ ঘাটে এসে ফিরে যাচ্ছেন বা গাড়ি রেখেই লঞ্চে বা স্পিডবোটে ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা পার হচ্ছেন। আটকা পড়া পণ্যবাহী ট্রাক অর্থাভাবে পাটুরিয়া যেতে পারছে না।

নাব্যতা নিরসনে বিআইডব্লিউটিএর ১১টি ড্রেজার ও পদ্মার সেতুর ১টি ড্রেজার পলি অপসারণ করছে। ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে- মঙ্গলবার থেকে ফেরি চালু হতে পারে। এদিকে গুরুত্বপূর্ণ এই ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকায় ক্ষুব্ধ ঘাট ব্যবহারকারীরা। আর এই রুটে ১৪টি ফেরি অলস বসে আছে। সচল ৮৭টি লঞ্চ ও সাড়ে ৪শ’ স্পীডবোট অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে চলছে ঝুঁকিপূর্ণভাবে।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানিয়েছেন, সেতুর ২৫ ও ২৬ এবং ২৪ ও ২৫ নম্বর খুঁটির নিচে ড্রেজিং চলছে। শনিবার ড্রেজিংয়ে ১০ হাজার ঘন মিটার পলি অপসারণ করছে। রোববারও পুরোদমে চলছে ড্রেজিং।

তিনি জানান, পদ্মা সেতু এলাকার চ্যানেলটিতে ৮০ শতাংশ এলাকাই পানির গভীরতা ১৮ ফুটের ওপরে। যেখানে ২০ শতাংশ এলাকায় গভীরতা কম সেখানে ড্রেজিং চলছে। মঙ্গলবার নাগাদ ফের চলাচল উপযোগী হবে।

বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক  জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেরি চালু করার জন্য চ্যানেলে নাব্য ফেরানোর কাজ পুরো দমে চলছে। তবে এখানে ফেরি বন্ধকালীন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া দিয়ে যানবাহনগুলো চলাচল এবং শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোটে অতিরিক্ত যাত্রী না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি চ্যানেলের লৌহজং টার্নিংয়ে দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৫০ মিটার প্রশস্ত নদী ১৬ ফুট গভীর করে ড্রেজিং করা হচ্ছে। এই ড্রেজিং এখন শেষ পর্যায়ে।