নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা প্রত্যর্পণের অনুরোধ না করা পর্যন্ত উভয় দেশের (বাংলাদেশ-ভারত) অস্বস্তি রোধ করতে তাকে অবশ্যই নীরব থাকা উচিত। ভারতে বসে তার রাজনৈতিক মন্তব্য করার বিষয়টি ‘অবন্ধুসুলভ আচরণ’ বলে মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) ঢাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ফেরত না চাওয়া পর্যন্ত যদি ভারত তাকে রাখতে চায়, তবে শর্ত হলো তাকে চুপ থাকতে হবে।’

বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে উল্লেখ করে ড. ইউনূস আরও বলেন, নয়াদিল্লিকে অবশ্যই সেই ন্যারেটিভের বাইরে যেতে হবে যেখানে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য সব রাজনৈতিক দলকে ইসলামপন্থি এবং শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশ আফগানিস্তানে পরিণত হবে বলে চিত্রিত করা হয়।

পিটিআইকে তিনি বলেন, ভারতে কেউই তার (শেখ হাসিনা) অবস্থানে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে না। কারণ আমরা তাকে ফেরাতে চাই। তিনি ভারতে আছেন এবং মাঝে মাঝে তিনি কথা বলছেন, যা সমস্যার। তিনি চুপ থাকলে আমরা ভুলে যেতাম; মানুষ এটাকে ভুলে যেত। কিন্তু ভারতে বসে তিনি কথা বলছেন, নির্দেশ দিচ্ছেন। কেউ এটা পছন্দ করে না।

‘ন্যায়বিচার’ দাবি করে গত ১৩ আগস্ট শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যের কথাও উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, হত্যা ও ভাঙচুরের ঘটনার তদন্ত এবং এর সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে অবশ্যই শাস্তি দিতে হবে।

তিনি পিটিআইকে বলেছেন, এটা আমাদের বা ভারতের জন্য ভালো নয়। এ নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে।

ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। প্রায় চার সপ্তাহ ধরে ভারতে তার উপস্থিতি বাংলাদেশে নানা জল্পনা উসকে দিয়েছে। বাংলাদেশ তার অবস্থান ভারতের কাছে জানিয়েছে কি না জানতে চাইলে ড. ইউনূস বলেছেন, ‘মৌখিকভাবে এবং বেশ দৃঢ়ভাবে জানানো হয়েছে যে তার (হাসিনা) চুপ থাকা উচিত।’