রাজধানীর গুলশানের সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল আল ইসলামকে মহামারি করোনাভাইরাসের রিপোর্ট তৈরিতে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

সোমবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং এর সহকারী পরিচালক এএসপি সুজয় সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তাকে বনানীর একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ফয়সাল হাসপাতালটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাবউদ্দিনের বড় ছেলে। মঙ্গলবার তাদের আদালতে তোলা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সোমবার বিকেলে ফয়সালসহ সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. আবুল হাসনাত ও হাসপাতালটির ইনভেন্টরি কর্মকর্তা শাহরিজ কবির সাদিসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করে র‌্যাব।

মামলার বিবরণে বলা হয়, নেগেটিভ রোগীকে করোনা পজিটিভ রোগী বলে চিকিৎসা দেয়া, পরীক্ষা না করে ভুয়া প্রতিবেদন দেয়া এবং অনুমোদন না নিয়েই র‌্যাপিড কিট দিয়ে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করিয়ে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি। হাসপাতালটি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করে আসছিল রোগীদের কাছে।

এ ঘটনায় র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম প্রতিষ্ঠাটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন। হাসপাতালের পাঁচটি অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। একটিতে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচটি মেয়াদোত্তীর্ণ সার্জিক্যাল টিউব পান। এগুলোর একটি ২০০৯ সালে, দুটি ২০১১ সালে এবং একটি ২০২০ সালের এপ্রিলে মেয়াদোত্তীর্ণ।

এর আগে, ১৯ জুলাই রোববার রাজধানীর গুলশানে সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখানে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও অসঙ্গতি পায় র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। অননুমোদিত কিট দিয়ে গত এপ্রিল থেকে করোনা পরীক্ষা করেছে হাসপাতালটি। হাসপাতাল থেকে অসংখ্য অননুমোদিত কিট উদ্ধার করেছে র‌্যাব।