সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সাবেক বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় আরও ৭ জন সাক্ষীকে জেরা করা হয়েছে। আসামীপক্ষের আইনজীবিরা সাক্ষীদের দেওয়া জবানবন্দীর ওপর ভিত্তি করে জেরায় অংশ নেন।
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির ৭ জনের বক্তব্য রেকর্ড করেন।
এসময় আদালতে সরকারপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন মৃধা ও পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ উপস্থিত ছিলেন। আসামীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ, অ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম পিন্টু সহ কয়েকজন।
সোমবার আদালতে সাক্ষ্য দেওয়া ৭ সাক্ষী হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মুনসুর আহমেদ, বিরোধীদলীয় নেতার সফরসঙ্গী ফাতেমা জাহান সাথী, সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সরদার মুজিব ও ফটোগ্রাফার শহীদুল হক জীবন এবং শেখ হাসিনার ওপর হামলার সময় বাসের চালক মো. নজিবুল্লাহ, দুই সাংবাদিক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ ও ইয়ারব হোসেন। তাদেরকে বিভিন্নভাবে প্রশ্ন করা হলে তারা তার জবাব দেন।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা হিসাবে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ধর্ষিতা মুক্তিযোদ্ধা পত্নীকে দেখতে সাতক্ষীরায় আসেন। এদিন তিনি কলারোয়া হয়ে মাগুরা ফিরে যাবার পথে তার গাড়িবহর নিয়ে হামলার শিকার হন। সেখানে গুলি এবং মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুনরুজ্জীবিত মামলার বিচারকাজ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ১৯ জন সাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়েছে। সোমবারও আদালতে আসামী বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব সহ ৫০ জন উপস্থিত ছিলেন।