আর্থিক খাতকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। চলতি অর্থবছরে মুদ্রাস্ফীতি ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার চেষ্ট করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
তিনি বলেন, আগামীতে ব্যাংক খাতে দুর্বৃত্তায়ন ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। আর্থিক খাতের সংস্কারে ব্যাংক কোম্পানি আইনকে ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করা হচ্ছে।
রোববার (১০ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে অন্তবর্তীকালীন সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
গভর্নর বলেন, এখন বাজারে ঘাটতি নেই, পণ্যের অভাব নাই। আমাদের মনে রাখতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে রাজনৈতিক স্বস্তিশীলতা না আসলে বিদেশি বিনিয়োগ করতে চাইবে না। যখন স্বিস্তিশীলতা আসবে তখন দেশি বিদেশি বিনিয়োগ আসবে।
শুরুতে আমাদের দুইটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, বড় ধরনের দুইটা চ্যালেঞ্জ ছিল- একটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনা, আরেকটি আর্থিক খাতের সংস্কার আনা। আমরা খাদের কিনারায় ছিলাম, সেখান থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছি।
মূল্যস্ফীতির বিষয়ে গর্ভনর বলেন, মূল্যস্ফীতি বললেই কমিয়ে আনা সম্ভব নয়। কোন মাসে কমবে কোন মাসে বাড়বে সেটা স্বাভাবিক। বলতে পারি অনেক কমিয়ে আনতে পারছি আমরা। আমাদের প্রত্যাশা ৫ শতাংশে নিয়ে আসতে পারবো।
আগামীতে ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশ প্রতিষ্ঠা করা গেলে কোন ব্যাংক তারুল্য সংকট পড়লে সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংক সহযোগিতা করতে পারবে বলে মনে করেন আহসান মনসুর। তিনি বলেন, আগামীতে দেশের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্তভুর্ক্ত করতে চাই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকই সব ব্যাংক পরিচালনা করবে। তারুল্য সংকটে পড়লে সহযোগিতা করতে পারবে।