মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়ার পর চীন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে তারা ‘শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে প্রস্তুত’।
ট্রাম্পের শুক্রবারের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে চীনের সাম্প্রতিক ‘দুর্লভ মাটির’ রফতানি নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা করার পরের প্রতিক্রিয়া হিসেবে চীন মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) এ কথা জানিয়েছে। ট্রাম্প একই পোস্টে আরও উল্লেখ করেছেন, নভেম্বর ১ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ‘সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যারের উপর রফতানি নিয়ন্ত্রণ’ আরোপ করবে।
এই নতুন উত্তেজনা আন্তর্জাতিক বাজারে ধাক্কা দিয়েছে এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠকের বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে বলেছেন, শুল্ক যুদ্ধ এবং বাণিজ্য যুদ্ধের বিষয়ে চীনের অবস্থান অপরিবর্তিত। আপনি যদি লড়াই করতে চান, আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করব; আপনি যদি আলোচনা করতে চান, আমাদের দরজা খোলা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে সংলাপ চাওয়ার সময় নতুন বিধিনিষেধ আরোপের হুমকি দিতে পারে না। এটি চীনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সঠিক উপায় নয়।
এর আগে রোববার ট্রাম্প তার একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে হুমকিস্বরূপ বক্তব্য কিছুটা মৃদু করে বলেছেন, ‘সব কিছু ঠিক হবে,’ এবং যুক্তরাষ্ট্র চীনের সহায়তা করতে চায় বলে উল্লেখ করেছেন।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) প্রকাশিত নতুন সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে চীনের রফতানি কার্যক্রম স্থিতিশীল থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মাসে রপ্তানি ৮.৩ শতাংশ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছে, যা মার্চ মাসের পর সর্বোচ্চ এবং পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক বেশি। বিশেষভাবে, যুক্তরাষ্ট্রে চীনা পণ্যের রফতানি বেড়ে ৩৪.৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
বর্তমানে চীনা পণ্যগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক কমপক্ষে ৩০ শতাংশ, যা ট্রাম্পের নেতৃত্বে আরোপিত হয়, যেখানে চীনের পাল্টা শুল্ক ১০ শতাংশ রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী এই শুল্ক যুদ্ধের প্রভাব নিয়েই কেন্দ্রীয় গুরুত্ব পাচ্ছে, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের অর্ধবার্ষিকী বৈঠক চলাকালীন।
যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউস এখনও দাবি করছে, দীর্ঘমেয়াদি শুল্ক প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ইতিবাচক হবে, যেহেতু এখন পর্যন্ত এর অর্থনৈতিক প্রভাব তুলনামূলকভাবে সীমিত।