
প্রতি কেন্দ্রে একজন সেনা সদস্য মোতায়েন করলে তেমন প্রভাব পড়বে না। তাই প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রে অন্তত পাঁচজন সেনা সদস্য মোতায়েনের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
বুধবার(১৯ নভেম্বর) সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে সংলাপে এ কথা বলেন তিনি।
প্রশাসনে রদবদল লটারির মাধ্যমে করার অনুরোধ জানিয়ে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘কিছু যৌক্তিক কারণে আমরা বলেছিলাম গণভোটটা আগে হোক। কারণ একই দিনে দুইটি ভোট হলে জনগণ বুঝতে পারবে না। জনগণকে তো বুঝতে হবে গণভোটটা কি।’
ভোটার তালিকায় ছবি স্পষ্ট করার উদ্যোগ নেওয়া ও প্রার্থীর পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকারনামা কোথায় জমা দিতে হবে তা স্পষ্ট করার অনুরোধ জানান মিয়া গোলাম পরওয়ার।
সংলাপে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ ইসিকে সাহসী হতে বলেন। ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করার পরামর্শ দেন তিনি।
জামায়াতের প্রতিনিধি দলের সদস্য ব্যারিস্টার শিশির মনির আচরণবিধির কিছু দুর্বলতা নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনে শাস্তি আসলে কে দেবেন, তা বিধিমালায় স্পষ্ট নয়। এটি স্পষ্ট করতে হবে। তাছাড়া একই অপরাধে প্রার্থী ও দলকে কীভাবে শাস্তি দেওয়া হবে সেটিও স্পষ্ট নয়।
শিশির মনির আরও বলেন, নির্বাচনের সময় অনেক অভিযোগ আসবে। অভিযোগ জমা দিলে তা নিষ্পত্তির সময় নির্ধারণ করা উচিত। এটিও আচরণবিধিতে উল্লেখ নেই।
তিনি বলেন, ‘একই মঞ্চে সব প্রার্থীর নির্বাচনী সংলাপ বা আলোচনা সব আসনে বাধ্যতামূলক নাকি কেউ করবে কেউ করবে না এমন? এই বিধান দেখে মনে হয় আপনারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। এটি স্পষ্ট করা প্রয়োজন।’

