অনেকেই চা-কফি কিংবা ঝটপট নাস্তা হিসেবে পাউরুটি খেয়ে থাকেন। কেউ কেউ আবার পাউরুটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের নাস্তাও তৈরি করে থাকেন।

এ কারণে নাস্তার মেন্যুতে পাউরুটি যেন অন্যতম আইটেম। অবশ্য মুখরোচক হওয়ায় পাউরুটি দিয়ে তৈরি যেকোন নাস্তা খেতেও সুস্বাদু। তবে কী আপনি প্রতিদিনই পাউরুটি খাচ্ছেন? তাহলে আপনাকে আজই সাবধান হতে হবে, আর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

বাজারে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের পাউরুটি পাওয়া যায়। তবে সাদা নাকি ব্রাউন পাউরুটি খাবেন, এর মধ্যে কোনটি বেশি ভালো তাও জানা প্রয়োজন। এবার কোন পাউরুটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী তা জেনে নিতে পারেন।

পুষ্টিবিদদের মতে, হোয়াইট ব্রেডে আঁশের পরিমাণ কম থাকে, এর গ্লাইসেমিক সূচকও বেশি। এই সূচকের দিক দিয়ে হোয়াইট ব্রেড আর শর্করার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। সাধারণত এই পাউরুটি তৈরিতে ময়দার সঙ্গে চিনি বা চর্বি ব্যবহার করা হয়। যাদের অতিরিক্ত ওজন বা ডায়াবেটিস আছে চিকিৎসকরা এই রুটি খেতে নিষেধ করেন। এক্ষেত্রে ব্রাউন পাউরুটি খেতে পারেন। এ পাউরুটি তুলনামূলক বেশি পুষ্টিকর। এটি শরীর গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে, এতে কম ক্যালরি থাকে যা ওজন কমাতে সহায়তা করে।

ব্রাউন পাউরুটি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা থাকে না। এটি হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে। এতে প্রচুর ফাইবার থাকায় পেটের রোগ হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়। আর হোল গ্রেন দিয়ে তৈরি হওয়ায় এই পাউরুটি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ভূমিকা রাখে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে গমের তৈরি পাউরুটিও খেতে পারেন। পুষ্টিবিদরা বলেন, গমের পাউরুটি বিভিন্ন পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হওয়ায় তা আপনার হার্ট ভালো রাখে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

ওটসের উপকারিতা সবারই জানা। ওটস দিয়ে তৈরি পাউরুটি ওজন কমার পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই হালকা নাস্তার জন্য ওটসের পাউরুটি খেতে পারেন। এই পাউরুটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন ও জিঙ্ক থাকে।

সবশেষে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে কোন পাউরুটি খেলে সহজে হজম হয় এবং গ্যাসের সমস্যা হয় না। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পাউরুটি খেতে পারেন।