নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর তল্লা এলাকায় একটি মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ২০ মুসল্লি গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আসঙ্কা করা হচ্ছে।

দগ্ধদের আহতদের শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল ও ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এশার নামাজ চলাকালে শহরের তল্লা বাইতুস সালাম মসজিদে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সবার অবস্থা গুরুতর।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মসজিদে এশার নামাজের পর মোনাজাত চলাকালে বিকট শব্দে এসির বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় মসজিদে প্রায় ৪০-৫০ মুসল্লি ছিলেন। বিস্ফোরণের পর হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার সময় অনেককেই বস্ত্রহীন এবং শরীর ঝলছে যাওয়া অবস্থায় দেখা গেছে।

আরও পড়তে ক্লিক করুন।

আরও পড়তে ক্লিক করুন।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আরেফিন জানান, মসজিদের এসি বিস্ফোরণে অনেকে দগ্ধ হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, এশার নামাজের শেষ সময় এয়ারকন্ডিশনের গ্যাসের লিকেজ হয়ে এ বিস্ফোরণ ঘটে।

আরও পড়ুন:  ইউএনওর ওপর হামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার।

থমকে গেছে জনশুমারির জনবল নিয়োগ।

তিনি জানান, মসজিদের ফ্লোরের নিচ দিয়ে এয়ারকন্ডিশনের পাইপের সংযোগ ছিল। পাইপ লিক করে বুদবুদ আকারে গ্যাস বের হচ্ছিল। দরজা জানালা বন্ধ থাকায় কেউ হয়তো ইলেকট্রিক লাইনের কোনো সুইচ চালু করতে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পার্ক হয়ে বিস্ফোরণটি ঘটে। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক আহত হয় বলে জানান তিনি।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের গাড়িতে ছয়জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়া স্থানীয়রা বিভিন্ন যানবাহনে আহতদের ঢাকা মেডিকেলে পাঠায় বলে তিনি জানান তিনি।