দেলোয়ার হোসেন সাঈদী কোনো অপরাধী নয় বলে দাবি করেন সুখরঞ্জন বালি। কিন্তু শেখ হাসিনা জোর করে সুখরঞ্জনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। তাকে দেশ থেকে চলে যেতে বাধ্য করেছিল বলে জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসি দেওয়ার জন্য কোনো প্রমাণ না পেয়ে শেখ হাসিনা মিথ্যা সাক্ষী বানিয়েছিল।

রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে রিকশা ও ভ্যানচালদের রেইনকোট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনার হিংস্র প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য আদালত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করেছে।

ফ্যাসিবাদী শক্তি নানাভাবেই ঘাপটি মেরে বসে আছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘এই প্রশাসনের মধ্যে ফ্যাসিবাদী শক্তি নানাভাবেই ঘাপটি মেরে বসে আছে। তারা সুযোগ পেলেই অন্তর্বর্তী সরকার এবং গণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়বে। যারা রাজনীতি নিয়ে গবেষণা করেন তারা প্রত্যেকেই দেখছেন, আজকে সচিবালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় তারা তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে সেখানে বসে আছেন এবং বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্য তারা কাজ করছেন।

মানুষ বেকার থাকলে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাবে মন্তব্য করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘একের পর এক কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যদি মানুষের কর্মসংস্থান না থাকে তাহলে দুর্ভিক্ষের আলামত তৈরি হবে। আপনাদের দুএকজন উপদেষ্টা হয়তো হাঁসের মাংস খেতে পারবেন যে কোনো জায়গায়। কিন্তু জনগণ তো আর হাঁসের মাংস খেতে পারবে না। সেই আলামত সেই পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় সেদিকে অন্তর্বর্তী সরকারকে নজর দিতে হবে। গার্মেন্টস সেক্টর থেকে এক লক্ষ লোকের চাকরি চলে গেছে। কারণ অনেক ফ্যাসিবাদের দোসর মিলকারখানার মালিক। আমাদের দল থেকে বারবার বলা হয়েছে, মিল কারখানা যেন বন্ধ না হয়। প্রয়োজনে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে।

জিয়া পরিষদের সহসভাপতি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু প্রমুখ।