সারাদেশে ডেঙ্গুর দাপট বেশ ভালোই বেড়েছে। দেশে প্রতি বছরই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। এটি একটি ভাইরাসজনিত জ্বর ও এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ানো হয় ডেঙ্গুকে। এই মশা সাধারণত ভোরবেলা ও সন্ধ্যার আগে কামড়ায়।
নরমাল চিকিৎসাতেই ডেঙ্গু জ্বর সেরে যায়, তবে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম এবং হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর মারাত্মক হতে পারে। কীভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন চলুন জেনে নেয়া যাক সহজ কিছু পদক্ষেপে কথা।
* ডেঙ্গু ছড়ায় মশার কামড়ে। মশা বংশবিস্তার করে আবদ্ধ পানিতে। তাই ঘরের ভেতরে, বারান্দায়, ছাদে, এমনকি ভবনের আশপাশের কোনো জায়গায় পানি জমে থাকতে দেবেন না।
* দিনে বা রাতে যখনই শোবেন, মশারি ব্যবহার করুন। মশারি ভালোভাবে গুঁজে দিতেও ভুলবেন না। মশারিতে কোনো বড় ছিদ্র আছে কি-না, খেয়াল রাখুন।
* মশারির বাইরে থাকার সময় ঢিলেঢালা পোশাক পরুন, যাতে হাত-পা ও শরীর ভালোভাবে ঢেকে থাকে। পোশাকে মশানিরোধী পদার্থ ব্যবহার করতে পারেন। তবে তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য রিপেলান্ট না।
*ঘরের জানালা, বাথরুমের জানালা ও বারান্দার দরজায় ছোট ছিদ্রের নেট লাগিয়ে নিতে পারেন। মশা তাড়াতে কীটনাশকের পরিবর্তে ধূপ ব্যবহার করুন। বাইরে যখন মশার ওষুধ দেওয়া হয়, তখন নিজের বাড়ির দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন।
* বাড়িতে জলজ উদ্ভিদ থাকলেও প্রতি ৭২ ঘণ্টায় পাত্রের পানি বদলে ফেলতে পারলে সমস্যা নেই। জলজ উদ্ভিদের জন্য ব্যবহূত জায়গাটি যথেষ্ট বড় হলে গাপ্পি কিংবা গাম্বুসিয়া মাছও ছেড়ে দিতে পারেন। এসব মাছ মশার লার্ভা খেয়ে ফেলে।
* মশা জন্মায় এমন টব বা পাত্র যাতে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। এমনকি বাড়িতে প্লাস্টিক কোনো কাপ বা ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকে পানি জমে থাকলে বিপদ হতে পারে।
* কমোড ঢেকে রাখুন। ব্যবহারের পর অবশ্যই ফ্লাশ করুন।
* নির্মাণাধীন ভবনে পানি জমা থাকছে কি-না, খেয়াল রাখুন। প্রয়োজনে এলাকার সবাই মিলে ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বা জমির মালিক ও নির্মাণশ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলুন।