মো: মহসিন খান: প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, “আল্লাহর কাছে জিলহজ মাসের প্রথম ১০দিনের আমলের চেয়ে অন্য কোনো দিনের আমল উত্তম নয়। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও না? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও না। তবে ওই ব্যক্তি ছাড়া, যে তার সর্বস্ব নিয়ে জিহাদে অংশগ্রহণ করল এবং কিছুই নিয়ে ফিরতে পারেনি।” (বুখারি শরিফ)
এ দিনগুলো এত মর্যাদাপূর্ণ হওয়ার কারণ সারা বছরের মধ্যে শুধুমাত্র এ সময়ে ইসলামের ৫টি স্তম্ভের ওপর আমল করা সম্ভব হয়।
এ ১০দিনের করণীয় কিছু আমল:
১. কোরবানি করা। (সূরা আল-কাউসার ও তিরমিজি শরিফ)
২. অধিক পরিমাণে আল্লাহ তায়ালার নামের জিকির করা। (সূরা হজ : ২৮) বর্ণিত আয়াতে নির্দিষ্ট দিনসমূহে আল্লাহর নামের জিকির করার কথা বর্ণিত হয়েছে। মুফাসসিরগণের মতে, ‘নির্দিষ্ট দিনসমূহ’ বলতে জিলহজের প্রথম দশ দিনকে বুঝানো হয়েছে।
৩. কোরবানি করতে ইচ্ছুক ব্যক্তির এই দশদিন- নখ, চুলসহ শরীর থেকে কোনো কিছু কর্তন না করা। (সহীহ মুসলিম শরিফ)
৪. অধিক পরিমাণে নেক আমল করা। (বুখারী ও মুসলিম)
৫. পাপের পথ না মাড়ানো। (বুখারী ও মুসলিম)
৬. বেশি বেশি তাকবির, তাহমিদ ও তাহলিল পাঠ করা। যেমন- আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ। (আবু দাউদ শরিফ)
৭. আরাফার দিন ফজর হতে আইয়ামে তাশরিকে (ঈদের দিন ও তার পরে আরো তিন দিন) প্রতি নামাজের পর তাকবীর দেয়া। (আবু দাউদ শরিফ)
৯. আরাফার দিনে রোজা রাখা। সহিহ মুসলিম শরিফের এক বর্ণনায় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আরাফার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি মনে করি, তার বিনিময়ে আল্লাহতায়ালা এক বছর পূর্বের ও এক বছর পরের গুনাহ মাফ করে দিবেন।
১০. আরাফার দিন ছাড়াও হাদীস শরিফে এ মাসের ১ম ৯ দিনে রোযা রাখার ফযিলত বর্ণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই ৯দিন রোযা পালন করছেন।
১১. ঈদের দিনের অন্যান্য সুন্নাত পালন করা।
মহান রাব্বুল আলামিন সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুন, আমিন ছুম্মা আমিন।