আবারও বেড়েছে চালের দাম। এক মাসের ব্যবধানে প্রকারভেদে কেজিপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। এছাড়া পেঁয়াজ-কাঁচামরিচ কিংবা আদা-রসুনের মত পণ্য আগের দরে পাওয়া গেলেও আগুন ঝরছে এলাচী ও অন্যান্য মশলাজাত পণ্যে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, গত এক মাসে মিনিকেট ৭০ থেকে বেড়ে ৮৫ টাকা, আটাশ ৫৫ থেকে বেড়ে ৬৫ এবং পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে বেড়ে ৬০ টাকায়।

শুধু চাল নয়, বেড়েছে মশলার দামও। প্রতিকেজি এলাচ বিক্রি হচ্চে ৩ হাজার থেকে বেড়ে ৫ হাজার ২০০ টাকা। তবে, সয়াবিন তেলের সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি এখনও।

এদিকে, শীতকালীন কিছু সবজির দাম কম থাকলেও বেগুন, বরবটি, করলাসহ বিভিন্ন সবজির দাম উর্দ্ধমূখী। এছাড়া মাছ ও মাংসের দাম গেল কয়েক সপ্তাহের তুলায় স্থিতিশীল।

ক্রেতারা বলছেন, ডাল-চিনিসহ যে সকল পণ্যের দাম কমেছে তা আরও সহনীয় পর্যায়ে আসা উচিত। অন্যদিকে বাজার সিন্ডিকেট ভেঙ্গে বাজার মনিটরিং জোরদার করার আহ্বান জানান সংশ্লিষ্টরা।

আলুর দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহের ৩০ টাকার আলু ৫ থেকে ১০ টাকা কমে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে। এ ছাড়া দেশি রসুন ২৫০ ও ইন্ডিয়ান রসুন প্রতি কেজি ২২০ টাকা, আদা ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগি ও ডিমের দাম। বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২৪০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকা কেজি, দেশি মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা।