প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস তান্ডবে যখন ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে গোটা বিশ্ব, তখন আশার কথা শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। অন্তত ৯টি ভ্যাকসিন অনুমোদনের দৌড়ে আছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। এদিকে, রাশিয়ার প্রথম কভিড ভ্যাকসিন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সমালোচনা হলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর প্রশংসা করেছেন। আর ভ্যাকসিন উৎপাদনে ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রা-জেনেকার সঙ্গে চুক্তি করেছে আর্জেন্টিনা ও মেক্সিকো। প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে ভ্যাকসিন নেবে ইউরোপিয়ান কমিশনও। এছাড়া চীনের ভ্যাকসিনও রয়েছে সাফল্যের দোরগোড়ায়। করোনার টিকা নিয়ে শুরু থেকেই কাজ করছে চীন। দেশটির সিনোফার্মের ভ্যাকসিনের সাফল্য অনেকদূর এগিয়েছে। সম্প্রতি সৌদি আরবে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। আগস্টের শেষ সপ্তাহে রুশ ভ্যাকসিন দেশটির চিকিৎসক ও শিক্ষকদের প্রয়োগ করা হবে। তবে এ ভ্যাকসিন তড়িঘড়ি করে অনুমোদন দেওয়ায় ৫২ শতাংশ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এটি নিতে প্রস্তুত নন বলে জানান। তিন হাজারেরও বেশি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের ওপর চালানো এক জরিপে শুক্রবার এ তথ্য উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রেও এ ভ্যাকসিন নিয়ে জোর সমালোচনা চলছে। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ ভ্যাকসিন নিয়ে তার আশার কথা শোনান। নভেম্বর বা ডিসেম্বরের আগে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিনের অনুমোদন পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথের প্রধান ফ্রান্সিস কলিন্স।

ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রা-জেনেকা অক্সফোর্ডের সম্ভাব্য কভিড-১৯ ভ্যাকসিন আর্জেন্টিনা ও মেক্সিকোয় উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে, যা লাতিন আমেরিকার বেশির ভাগ দেশের জন্য ব্যবহৃত হবে। ভ্যাকসিনের ১০ কোটি ডোজ পাওয়ার জন্য অ্যাস্ট্রা-জেনেকার সঙ্গে চুক্তি করেছে ব্রাজিল। প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন নেবে ইউরোপিয়ান কমিশনও। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন