সমতায় ফেরার মিশনে বোলাররা দ্যুতি ছড়িয়েছেন বটে। তবে ব্যর্থ হলেন ব্যাটাররা। তুলনামূলক সহজ লক্ষ্য পেয়েও আয়ারল্যান্ডকে হারাতে পারলো না টাইগ্রেসরা। এর ফলে টানা প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ খোয়ালো জ্যোতির দল।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সিলেটে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৪৭ রানের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ১৩৫ রান তাড়া করতে নেমে ১৭.১ ওভারে সব কটি উইকেট হারিয়ে ৮৭ রানে থামলো স্বাগতিকরা। আইরিশদের হয়ে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৩ রান খরচ করে ৩ উইকেট নিয়েছেন ওরলা প্রেনদারগ্যাস্ট। এ ছাড়া ২টি করে উইকেট নিয়েছেন আর্লেন কেলি ও লরা ডেলানি।
মিরপুরে দাপট দেখিয়ে ৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জেতা টাইগ্রেসরা সিলেটে পা রাখার পরই যেন বদলে গেল। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই আইরিশদের কাছে তারা ধরাশায়ী হলো। ১৭০ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ম্যাচে দারুণ লড়াই করলেও জিততে জিততে শেষদিকে খেই হারিয়ে ১২ রানের হারে মাঠ ছাড়তে হয়। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ১৩৫ রানের তুলনামূলক সহজ লক্ষ্য পেয়ে সে লড়াইটাও করতে পারেনি বাংলাদেশ।
শুরু থেকেই আইরিশ বোলারদের তোপে পড়ে মাত্র ২২ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেন স্বাগতিকরা। যদিও পঞ্চম উইকেটে স্বর্ণা আক্তারকে নিয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন শারমিন আক্তার। তবে ২১ বলে ২০ রান করে দলীয় ৭০ রানে স্বর্ণা আউট হলে ফের চাপে পড়ে যায় লাল সবুজরা। এরপর আর কেউ শারমিনের যোগ্য সঙ্গী হতে পারেননি। ৪৩ বলে ৩৮ রান করে দলীয় ৮৭ রানে শারমিনের আউটের ম্যাচ থেকেই ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
তবে দলকে সমতায় ফেরানোর জন্য এদিন বল হাতে কার্যকরী ভূমিকা রেখেছিলেন টাইগ্রেস বোলাররা। নাহিদা-জাহানারাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রানে থেমেছিল আইরিশদের ইনিংস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন লরা ডেলানি। ২৫ বলে ৪ চারের মারে সাজানো ছিল তার ইনিংস। এছাড়া ২৫ বলে ৩২ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন ওরলা। বাংলাদেশের হয়ে ২০ রান খরচায় সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন নাহিদা।
আগামী সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ফের মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে হার এড়াতে না পারলে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পড়তে হবে টাইগ্রেসদের।