নিউজ ডেস্ক: টানাবৃষ্টির কারণে পাহাড়ি ঢলে বেড়েছে। ফলে কাপ্তাই হ্রদের পানি অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধ রক্ষায় সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট চার ফুট করে খুলে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এতে করে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র দিয়ে কাপ্তাই হ্রদ থেকে প্রতি সেকেন্ডে ৯৮ হাজার কিউসেক এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য টারবাইন ঘুরিয়ে প্রতিদিনের ধারাবাহিক ৩২ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে ফেলানো হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।

এদিকে পানির তীব্র স্রোতের ফলে রাঙামাটির চন্দ্র ঘোণা হয়ে রাজস্থলী যাওয়ার একমাত্র ফেরি চলাচল সীমিত করা হয়েছে।

রাঙামাটির সড়ক বিভাগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সারাদিন পানির স্রোত তীব্র থাকলে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হবে।

ভারতের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে নেমে আসা পানিতে কয়েকদিন ধরেই কাপ্তাই হ্রদের টইটুম্বুর অবস্থায়। প্রতিদিনই রাঙামাটির নিম্নঞ্চলে পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধিতে রাঙামাটির অন্তত সোয়া লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

জেলার ১৫ হাজারের মতো কৃষকের প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্র নিশ্চিত করেছে।

রাঙামাটি শহরের কাপ্তাই হ্রদের তীরবর্তী এলাকাগুলো বসবাসরত কয়েক হাজার পরিবারের বসত ঘরে দুই থেকে তিন ফুট পর্যন্ত পানি ঢুকেছে। এতে করে মানবেতর জীবনযাপন করছে ভুক্তভোগী দুর্গত মানুষেরা।

ইতোমধ্যেই রাঙামাটির নিম্নঞ্চলে বসবাসরত প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হওয়ার পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগে।