চট্টগ্রামে আদালত চত্বরে হত্যার শিকার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে আদালত প্রাঙ্গণে সাইফুলের মরদেহ নেওয়া হয়। পরে আদালত প্রাঙ্গণেই প্রথম জানাজা এবং জমিউত-উল-ফালাহে দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
বেলা সাড়ে ১১টায় জানাজায় অংশ নেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলমসহ ছাত্র আন্দোলনের হাজারও শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। এ সময় জনসমুদ্রে পরিণত হয় পুরো চট্টগ্রাম নগরী। দূর-দূরান্ত থেকে লাখো মানুষকে আইনজীবী সাইফুল ইসলামের জানাজায় শরিক হতে আসতে দেখা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজায় সহকর্মী এবং পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে সৃষ্টি হয় হৃদয়বিদারক দৃশ্য।
জানাজায় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা হাসান আরিফসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন উপদেষ্টা।
এ দিকে এই হত্যার ঘটনায় আদালতের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন আইনজীবী সমিতির নেতারা। এ পরিস্থিতি বহাল থাকবে কিনা- সেটি নিয়ে বিকেলে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ নভেম্বর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে পাঠানোর পথে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকে দেয় তার অনুসারীরা। তাদের সরিয়ে দিয়ে চিন্ময়কে কারাগারে নেওয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে তার অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামের রাষ্ট্রের পক্ষের এক আইনজীবীকে হত্যা করা হয়।