১৯৭১ সালের যে দিনটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, সেই ৭ মার্চ জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস পালনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সভার সভাপতিত্ব করেন।
পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রতি বছরের ৭ মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে ঘোষণা এবং দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারিকৃত এতদ্ববিষয়ক পরিপত্রের ‘ক’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্তকরণের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
এর আগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করে গেজেট জারির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
বশির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ৭ মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা করে আগামী এক মাসের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই আদেশের ফলে ৭ মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হলো। এখন প্রশাসনের কাজ হবে আগামী এক মাসের মধ্যে একটি গেজেট জারি করা এবং সেই গেজেটের মাধ্যমে ভবিষ্যতে দিবসটি জাতীয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা।