হোয়াটসঅ্যাপে কেউ মেসেজ পাঠিয়ে ডিলিট করে দিলে আপনার মনে কৌতূহল জাগতেই পারে। মুছে ফেলা সেই মেসেজগুলো পড়ার জন্য দুটি উপায় ব্যবহার করা যেতে পারে-

১. অ্যানড্রয়েড ডিভাইসে নোটিফিকেশন হিস্টরি ব্যবহার

অ্যানড্রয়েড ১১ (Android 11) এবং এর পরবর্তী সংস্করণের ডিভাইসগুলোতে একটি বিল্ট-ইন ফিচার রয়েছে যার মাধ্যমে ডিলিট হওয়া টেক্সট মেসেজ দেখা সম্ভব। এই ফিচারটির নাম হলো নোটিফিকেশন হিস্টরি (Notification History)।

ফিচারটি সক্রিয় করার প্রক্রিয়া:

১. আপনার ফোনের সেটিংসে (Settings) যান।
২. নোটিফিকেশন (Notification) সেকশনে যান।
৩. এরপর More Settings বা এই ধরনের কোনো অপশনে ক্লিক করুন।
৪. নোটিফিকেশন হিস্টরি (Notification History)-তে যান।
৫. এটি অন (On) করুন।

ব্যবহারের পদ্ধতি: একবার এই ফিচারটি সক্রিয় হয়ে গেলে, আপনি উপরের প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে গিয়ে গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফোনে প্রাপ্ত সমস্ত নোটিফিকেশন দেখতে পাবেন। কেউ মেসেজ ডিলিট করলেও, যদি মেসেজটি আসার পর তার নোটিফিকেশন আপনার ফোনে এসেছিল, তাহলে সেটি এখানে দেখা যাবে।

সীমাবদ্ধতা: এই উপায়ে আপনি শুধুমাত্র টেক্সট মেসেজ দেখতে পারবেন। ডিলিট করা ফটো, ভিডিও বা অডিও মেসেজ নোটিফিকেশন হিস্টরিতে দেখা যায় না।

২. থার্ড পার্টি অ্যাপের ব্যবহার (ঝুঁকিপূর্ণ)

মুছে ফেলা হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ দেখার জন্য আরেকটি বিকল্প হলো থার্ড পার্টি অ্যাপের সাহায্য নেওয়া। এই অ্যাপগুলো গুগল প্লে স্টোরে ‘হোয়াটসঅ্যাপ ডিলিটেড মেসেজ’ বা এই ধরনের কিওয়ার্ড লিখে খুঁজে পাওয়া যায়।

অ্যাপসগুলোর কার্যপদ্ধতি ও ঝুঁকি:

কার্যপদ্ধতি: এই ধরনের বেশিরভাগ অ্যাপ আপনার ফোনে আসা নোটিফিকেশন-এর অ্যাক্সেস নেয়। তারা দাবি করে যে আপনার ফোনে আসা নোটিফিকেশন পড়ার পর তারা সেই মেসেজটি সেভ করে রাখে, যাতে পরে ডিলিট হলেও আপনি দেখতে পান। এই অ্যাপগুলো মুছে ফেলা ফটো এবং ভিডিওগুলোও দেখানোর দাবি করে।

ঝুঁকি: এই পদ্ধতিটি নিরাপদ নয়। একটি অ্যাপ আপনার সমস্ত মেসেজ নোটিফিকেশন থেকে পড়ছে এবং সেগুলি সেভ করছে। হোয়াটসঅ্যাপে আপনার মেসেজ এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের (End-to-End Encryption) অধীনে নিরাপদ থাকলেও, অন্য কোনো অ্যাপ যদি সেগুলো পড়ে তবে সেই মেসেজগুলির গোপনীয়তা (Privacy) আর বজায় থাকে না। সেই অ্যাপ আপনার মেসেজ কোথায় এবং কীভাবে ব্যবহার করতে পারে তা অনুমান করা কঠিন।

পরামর্শ: সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে, নোটিফিকেশন হিস্টরি ব্যবহার করা সবচেয়ে নিরাপদ এবং প্রস্তাবিত উপায়। থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে।