ঝালকাঠিতে সড়কের ওপর ঝুঁকে থাকা একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যাত্রীবাহী একটি বাসের ছাদ উড়ে গেছে। এতে বাসে থাকা ১৬ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। অন্য যাত্রীরাও কমবেশি আহত হয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজাপুর উপজেলার বরিশাল-ভান্ডারিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বলাইবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর পাঁচজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক।

গুরুতর আহতরা হলেন- পাথরঘাটার আব্দুল মজিদের ছেলে মামুন (৩০), শাহ-আলমের ছেলে মহিবুল্লাহ (২৮), মঠবাড়ির আতাহার মিস্ত্রির ছেলে শাহ-আলম (৬৫), অলিউল্লাহ (৫০) ও ভান্ডারিয়ার আবুল কালামের ছেলে আবুল হোসেন (৩২)।

স্থানীয়রা জানায়, চট্টগ্রাম থেকে বরগুনার পাথরঘাটার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা সৈকত এন্টারপ্রাইজ নামের বাসটি উপজেলার বলাইবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে সড়কের ওপর ঝুঁকে থাকা একটি শিশু গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাসের ছাদ উড়ে যায়। এ সময় বাসে থাকা চালকসহ ১৩ জন যাত্রী আহত হন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বার বার সড়ক ও জনপথ বিভাগের লোকজনকে সড়কে ঝুঁকে থাকা গাছ কর্তনের ব্যাপারে বলা হলেও কোনো উদ্যোগ নেননি। তাদের অবহেলায় প্রায় এমন দুর্ঘটনা ঘটে। ভান্ডারিয়া-ঝালকাঠি আঞ্চলিক সড়কের দুই পাশে এ রকমের অনেক গাছ ঝুঁকে রয়েছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে এর চেয়ে বড় দুর্ঘটনা।

রাজাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদ হোসেন বলেন, সোমবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধার করে হেফাজতে রাখা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীমা ইয়াসমিন বলেন, সড়কের পাশের কিছু গাছ সড়ক বিভাগের আর কিছু গাছ বন বিভাগের। আমাদের অতি ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। সাধারণ ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো থেকে দুর্ঘটনা এড়াতে মার্কিং করা হয়েছে। বন বিভাগের ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো কাটার জন্য একাধিকবার চিঠি দেয়া হয়েছে। তাতে গুরুত্ব দেয়নি তারা। এজন্য দুর্ঘটনা ঘটছে।