আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে বিবাদের মাঝেই প্রায় কয়েক হাজার প্যারাট্রুপার-সহ সীমান্তে বিশাল সেনা সমাবেশ ঘটালো চীন। প্রয়োজনে সীমান্ত অঞ্চলে দ্রুত ভারী সামরিক যান ও বাহিনী পাঠানোর ব্যবস্থা পরীক্ষা করে নিতেই পিএলএ-র এই তোড়জোড় বলে জানিয়েছে চীনা কম্যুনিস্ট পার্টির মুখপত্র। খবর টিবিএস।
রোববার (৭জুন) চীনা সংবাদমাধ্যমে যখন এই খবর প্রকাশিত হয়, ঠিক সেই সময় নয়াদিল্লি জানিয়েছে, পূর্ব লাদাখে সপ্তাহব্যাপী সীমান্ত সংকট দূর করতে ভারত ও চীনের মধ্যে সামরিক ও কূটনৈতিক আলোচনা বহাল থাকবে।
এর আগে শনিবারই লাদাখে চীন সীমান্ত সংলগ্ন নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে মলডো-তে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসে ভারত ও চীনের সামরিক প্রতিনিধিদল। তবে তার ফলাফল কী দাঁড়িয়েছে তা জানায়নি দুই পক্ষই। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
সীমান্তের কোন অংশে ওই বিশাল সেনা সমাগম ঘটানো হয়, তা অবশ্য ফাঁস করেনি চীনা সংবাদমাধ্যম। তবে এটুকু বোঝা গিয়েছে যে, ভারকে কড়া বার্তা দিতেই এ দিন এত বড় মাপের কুচকাওয়াজের ব্যবস্থা করা হয়।
এ দিনের সামরিক মহড়ায় বেসামরিক বিমান সংস্থা, বাণিজ্যিক পরিবহণ ব্যবস্থা ও রেলের সাহায্যে মধ্য-চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে পিএলএ’র কয়েক হাজার প্যারাট্রুপারকে হাজার কিমি দূরে দেশের উত্তর-পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলের কোনও অজ্ঞাত গন্তব্যে পাঠানো হয়।
তাদের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে ট্যাঙ্ক, ভারী সশস্ত্র সামরিক যান এবং বিপুল পরিমাণে সামরিক রেশন। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই বিশাল বাহিনী ও সরঞ্জাম গন্তব্যে পৌঁছে গিয়েছে বলে জানিয়েছে চীনা সংবাদমাধ্যম। এর আগে ১৪ মে একই রকম সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করেছিলো বেজিং।
বাংলাদেশের সময়/এবি