বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে চাল, ডালসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়তি থাকে। কিন্তু সরকার পতনের পর থেকে সে চিত্র পাল্টে যেতে থাকে।এরমধ্যে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। বাজারে আবারও জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে সবজির দাম কম থাকলেও বেড়েছে চাল-মাছ-মুরগির দাম।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজি ছাড়া সবকিছুর দামই বাড়তি। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ২ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজি প্রতি অন্তত ১০টাকা। ডিমের হালিতে খুচরা পর্যায়ে বেড়েছে ৪ টাকা পর্যন্ত। মাছের বাজারেও একই চিত্র। পাঙাশ থেকে শুরু করে রুই, কাতলা, বোয়াল, ইলিশসহ সব ধরনের মাছের দামই বাড়তি।
তবে কিছুটা কমেছে গরুর মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৩০ থেকে ৭৫০ টাকায়। যা সপ্তাহ দুয়েক আগেও ছিল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা।
ডিম ও মুরগির দাম বেশি কেন, জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় দেশের বিভিন্ন জেলায় অনেক মুরগির খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ওই সব এলাকায় মুরগি ও ডিমের সরবরাহ কমেছে। তাছাড়া ভারত থেকে সম্প্রতি যে ডিম আমদানি করা হয়েছে, তা-ও চাহিদার তুলনায় সামান্য। এ কারণে দাম বেড়েছে।
বাজার দর নিয়ে কথা হয় একাধিক ক্রেতার সঙ্গে। তারা বলেন, সরকার পতনের পর কিছু কিছু পণ্যের দাম কিছুটা কমলেও এখন আবার ধীরে ধীরে মাছ-মুরগি-ডিম সবকিছুর দাম বাড়ছে। এই মুহূর্তে সবার চাওয়া, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ। তবেই নিম্নআয়ের মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারবে।