শীতের সময় ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে অনেকেরই কষ্ট হয়। তাই বেশিরভাগ মানুষই শীতে গরম পানিতে গোসল করতে পছন্দ করেন। তবে দীর্ঘদিন গরম পানিতে গোসল করার অভ্যাসও বিপদ ডেকে আনতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানান, অতিরিক্ত গরম পানিতে গোসল করলে শরীরে চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। তবে স্বাভাবিক তাপমাত্রা অর্থাৎ বেশি ঠান্ডা আবার বেশি গরম নয়, এমন পানিতে গোসল করার অভ্যাসই স্বাস্থ্য ও ত্বকের জন্য ভালো।
ঠান্ডা পানিতে গোসল করারও নানা উপকারিতা আছে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় জানা গেছে, ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে ক্লান্তি কমার পাশাপাশি রক্ত চলাচলও ভালো হয়। আবার খুব গরম পানিতে গোসল করলে ত্বক শুকিয়ে দেয়। তবে হালকা গরম পানিতে গোসল করাও শরীরের জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশ উপকারী। এতে পেশির আরাম হয়। ফুসফুসও ভালো থাকে।
চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, শীতে ঠান্ডা লাগলেও ঠান্ডা পানিতেই গোসল করা ভালো। তাই পাল্টাতেই হবে গরম পানিতে গোসল করার অভ্যাস। এর ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বেড়ে যাবে। আসলে শরীর ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে এলে শরীরের সমস্ত অঙ্গে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কিছু গবেষক দাবি করেছেন, বরফ মেশানো পানিতে গোসল করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে ও অসুস্থতার বিরুদ্ধে আরও প্রতিরোধী করে তুলতে পারে।
নেদারল্যান্ডে একটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে, নিয়মিত ঠান্ডা পানিতে গোসলের কারণে প্রায় ২৯ শতাংশ মানুষের অসুস্থতার ঝুঁকি কমেছে। যদিও ঠান্ডা পানিতে গোসলেরও অনেক উপকারিতা আছে, তবে শরীর বুঝে তবেই তা অনুসরণ করতে হবে। যারা শারীরিকভাবে একেবারে সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান শুধু তারাই এ ধরনের অভ্যাস অনুসরণ করতে পারেন।
তবে কেউ যদি ফিট না হন ও হার্টের অসুখে ভুগে থাকেন তাহলে তার ঠান্ডা পানিতে গোসল এড়িয়ে যাওয়া ভালো। কেননা হার্টের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়লে অনিয়মিত হৃদস্পন্দন বা অ্যারিথমিয়া হতে পারে। এর থেকে বৃহত্তর কার্ডিয়াক অ্যাটাক ঘটতে পারে।
গোসলের আগে প্রথমে হাত-পা ভেজান তারপর শরীরের বিভিন্ন স্থানে পানি ঢালুন। এভাবে গোসল সম্পন্ন করুন। হঠাৎ করে কখনও শরীরে পানি ঢালা উচিত না, এতে শরীরের ভেতরে শকের সৃষ্টি হতে পারে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস