আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনুক কার্গো হেলিকপ্টার এবং অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টার উড়েছে। এছাড়া পি-৮ সার্ভেইলেন্স এয়ারক্র্যাফ্ট (নজরদার বিমান) এবং আইএল-৭৬ স্ট্র্যাটেজিক এয়ারলিফ্টারকেও (কার্গো বিমান) লাদাখের আকাশে উড়তে দেখা গেছে বলে শুক্রবার (১৯জুন) গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। খবর পার্সটুডে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ট্যাকটিকাল এয়াললিফ্টার বিমান সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিকেও শুক্রবার সকালে লাদাখের আকাশে দেখা গেছে এবং এগুলো দৌলত বেগ ওল্ডির বিমানঘাঁটিতে নেমেই আবার তা উড়ে গেছে বলেও খবর প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ও সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল সৌমিত্র রায়ের মতে, পি-৮ নজরদার বিমান এবং অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টার সীমান্ত বরাবর ওড়ানোর উদ্দেশ্য সীমান্তে ‘এয়ার ডমিন্যান্স’ শুরু করল ভারত। প্রতিপক্ষের দিক থেকে কোনও আগ্রাসনের চেষ্টা হলেই আকাশ থেকেই তার পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। এছাড়া রসদ ও বাহিনী নিয়ে যেসব কপ্টার ও বিমান সীমান্তবর্তী বিমানঘাঁটির দিকে যাচ্ছে, সেগুলোকে সুরক্ষা দেওয়া হবে।
ভারত-চীন সীমান্তে চলমান সংঘাতের মধ্যে যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভারতীয় সেনাবাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। এরইমধ্যে বিমানবাহিনীর প্রধান আরকেএস ভাদোরিয়া লেহ ও শ্রীনগর বিমানঘাঁটি পরিদর্শন করেছেন। লেহ-লাদাখ অঞ্চলে বিমানবাহিনী বর্তমানে সতর্ক অবস্থায় থাকায় বিমান বাহিনীর প্রধানের ওই সফর গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
গণমাধ্যমের একটি সূত্রে প্রকাশ, লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ২১টি গ্রামকে ব্ল্যাকআউট করা হয়েছে। বেশিরভাগ গ্রাম গত একমাস ধরে সতর্ক পরিস্থিতিতে রয়েছে। কিন্তু গত সোমবার চীনাবাহিনীর হাতে ভারতীয় ২০ সেনা সদস্য নিহত হওয়ার পরে গোটা এলাকায় উচ্চসতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সোমবার রাতে গলওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চীনের সেনা সংঘর্ষের পরে বিমানবাহিনীর ওই তৎপরতা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা।